এছাড়াও কলকাতার আদলে তৈরি করা হয়েছে প্রতিমা। প্রতিমাতে দেবী দশভুজা ছাড়াও আছেন লক্ষী নারায়ণ, শিব এবং প্রজাপতি ব্রহ্মা। প্রায় দশ লক্ষ টাকা বাজেটে এই পুজো করা হয়েছে এই বছর। পাশাপাশি বাহারী আলোকসজ্জাতেও চমক দিয়েছে পুজো কমিটি।
প্রত্যক বছর থিমের চমক দিয়ে থাকে কান্দি অরবিন্দ স্পোর্টিং ক্লাব। এই বছরও তার ব্যতিক্রম হয়নি। দিল্লির লালকেল্লা ফুটিয়ে তুলে দর্শকদের আকর্ষণ কেন্দ্র গড়ে তুলেছেন পুজো কমিটির সদস্যরা।
advertisement
আরও পড়ুন: পুজোর বাজারে সুপারহিট, রুটি-মাংসের এই কম্বো দেদার খাচ্ছে আম বাঙালি
সপ্তদশ শতাব্দীতে প্রাচীর-বেষ্টিত পুরনো দিল্লি শহরে একটি কেল্লা নির্মাণ করেন মুঘল সম্রাট শাহজাহান। পরবর্তীকালে সেই কেল্লার নামই হয় লাল কেল্লা। ১৮৫৭ সাল পর্যন্ত এই দুর্গই ছিল মুঘল সাম্রাজ্যের রাজধানী।
এরপর শেষ মুঘল সম্রাট দ্বিতীয় বাহাদুর শাহকে নির্বাসিত করে ভারতের রাজধানী কলকাতায় স্থানান্তরিত করে ব্রিটিশ সরকার। ১৯৪৭ সাল পর্যন্ত ব্রিটিশরা এই দুর্গটিকে একটি সামরিক ক্যাম্প হিসেবে ব্যবহার করত।
বর্তমানে এটি একটি জনপ্রিয় পর্যটনকেন্দ্র এবং ভারতীয় প্রজাতন্ত্রের সার্বভৌমত্বের একটি শক্তিশালী প্রতীক। প্রতি বছর ভারতীয় স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে ভারতের প্রধানমন্ত্রী লালকেল্লার লাহোরি গেটসংলগ্ন একটি স্থানে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করে থাকেন। ২০০৭ সালে লালকেল্লা ইউনেস্কো বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান হিসেবে নির্বাচিত হয়। আর সেই জনপ্রিয় লালকেল্লাকে মন্ডপসজ্জাতে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে কান্দি অরবিন্দ স্পোর্টিং ক্লাবে।
কৌশিক অধিকারী