জানা গিয়েছে, বর্তমানে পরিযায়ী শ্রমিকের কাজে অন্য রাজ্যে কর্মরত স্বামীরা। কেউ কেরলে, কেউ বা অন্ধ্রপ্রদেশে থাকেন। বাড়ি ফেরেন ৬-৯ মাস পর পর। সন্তানদের নিয়ে গ্রামে একাই বসবাস করেন গ্রামের গৃহবধূরা। যদিও স্বামীর পাঠানো টাকাতেই চলে সংসার।
আরও পড়ুনঃ পথের কাঁটা সরাতে দ্বাদশ পড়ুয়া মেয়ের এ কী করল মায়ের প্রেমিক? লজ্জায় মাথা হেঁট চাকদহের
advertisement
'দিদির সুরক্ষা কবচ' কর্মসূচি নিয়ে কয়েকদিন আগেই কীর্তিনের পাড়া গ্রামে যান দিদির দূতরা। আবাস যোজনার ঘর পাওয়ার পর সেই উপভোক্তাদের সঙ্গে ছবি তোলেন। আর সেই ছবি দলের what's app গ্রুপে পোষ্ট করা হয়। আর তারপরেই ঘটে বিপত্তি। বাড়ির বন্ধুদের সঙ্গে তোলা সেই ছবি কোনওভাবে পৌঁছে যায় ভিন রাজ্যে কর্মরত স্বামীদের কাছে। আর তাতেই ঘটে বিপত্তি।
ছবি ছড়িয়ে পড়ার পর থেকে বর্তমানে কেউ টাকা পাঠানো বন্ধ করেছেন, কেউ আবার বলছেন তালাক দেবেন। অনেক যুবক তড়িঘড়ি বাড়ি ফিরে বাড়ির বৌকে সবক শেখাচ্ছেন। এই ঘটনার কথা সামনে আসতেই উত্তেজনা ছড়িয়েছে জলঙ্গিতে। যদিও গ্রামের মহিলাদের দাবি, এলাকার বাসিন্দারা দিদির সুরক্ষা কবচ কর্মসূচিতে মহিলাদের সঙ্গে কথা বলেন তৃণমূল কর্মীরা, সমস্যার কথা শুনে ছবি তোলেন। আর সেই ছবি আপলোড করা হয়। সেই ছবি থেকেই যত বিপত্তি।
কৌশিক অধিকারী