পেশায় রাজমিস্ত্রি মজিবুর অনেকদিন ধরেই মদ্যপানে আসক্ত। এদিকে তাঁর বাড়ি যে এলাকায় সামশেরগঞ্জের সেই ভাসাইপাইকরে অত্যন্ত সক্রিয় শান্তি কমিটি। এলাকায় সুষ্ঠ পরিবেশ বজায় রাখার জন্য গ্রামের লোকেরাই এই শান্তি কমিটি গঠন করেছে। মৃত মজিবুরের পরিবারের অভিযোগ, গত বৃহস্পতিবার রাতে সে মদ খেয়ে বাড়ি এসেছি। কিছুক্ষণের মধ্যেই ভাসাইপাইকর শান্তি কমিটির কয়েকজন সদস্য মদ খাওয়ার অপরাধে তাকে মারধর করে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যায়। পরে আরও মারধর করে। মারের চোটে মজিবুরের শরীরের বিভিন্ন অংশ ফুলেও যায় বলে পরিবারের দাবি। এরপর আবগারি দফতরের মাধ্যমে সামশেরগঞ্জ থানায় পাঠানো হয় তাকে। শুক্রবার থেকে জেলেই ছিলেন ওই ব্যক্তি।
advertisement
আরও পড়ুন: জ্বলন্ত গ্যাস সিলিন্ডারকে বাগে আনতে গিয়ে মর্মান্তিক মৃত্যু যুবকের
সোমবার হঠাৎই জঙ্গিপুর সংশোধনাগারে মুজিবুর রহমানের মৃত্যু হয়। এই প্রসঙ্গে মৃতের পরিবার জানিয়েছে, সোমবার সন্ধেয় হঠাৎ ফোন করে জানানো হয় মজিবুর মারা গিয়েছে। জেলের মধ্যে বিচারাধীন বন্দির মৃত্যু ঘিরে রীতিমত শোরগোল পড়ে গিয়েছে।
এদিকে জঙ্গিপুর সংশোধনাগার সূত্রে খবর, অসুস্থ হয়ে পড়েছিল মজিবুর। সঙ্গে সঙ্গে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু রাস্তাতেই তার মৃত্যু হয়। গোটা ঘটনায় মৃতের পরিবার ভাসাইপাইকর শান্তি কমিটিকে কাঠগোড়ায় তুলেছে। তাঁদের বক্তব্য, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্ব পুলিশের। তাই সত্ত্বেও ভাসাইপাইকর শান্তি কমিটি বাড়াবাড়ি করছে বলে এলাকার আরও বেশ কিছু মানুষের অভিযোগ। শান্তি কমিটি কেন নিজেদের হাতে আইন তুলে নিল তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। এদিকে মৃতের পরিবার শান্তি কমিটির বিরুদ্ধে টাকা তোলার অভিযোগও এনেছে। যদিও তাদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ নিয়ে সাফাই দিয়েছেন ভাসাইপাইকর শান্তি কমিটি। তারা মারধরের অভিযোগ সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছে। মৃতের পরিবারের অভিযোগ পেয়ে তদন্তে নেমেছে পুলিশ। শান্তি কমিটির ভূমিকা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে।
কৌশিক অধিকারী