রণি হালদার নামে এক ১৬ বছরের কিশোর গত রবিবার রাত্রিবেলা থেকে নিখোঁজ ছিল। দুইদিন ধরে খোঁজাখুঁজি করা হলেও তাঁর কোনও সন্ধান পাওয়া যায়নি। অবশেষে পুলিশের দারস্থ হয় পরিবার। রণি হালদারকে রিন্টু বিশ্বাস নামে একজন বন্ধু খুন করে বলে অনুমান। পুলিশি জেরার মুখে স্বীকার করে সে, প্রথমত গলায় তারের ফাঁস দিয়ে তাকে মারা হয় এবং ভাগীরথী নদীতে নিয়ে গিয়ে তার গলা এবং পেটের একাংশ কেটে দেওয়া হয় যাতে তার মৃতদেহ জলের ওপরে ভেসে না ওঠে।
advertisement
আরও পড়ুন: 'কান্না' কাজে এল না, ২০০ কোটি টাকার জালিয়াতি মামলায় অভিযুক্ত জ্যাকলিন ফার্নান্ডেজ
নৌকার নীচে থেকে তার দেহ উদ্ধার করা হয়। বুধবার সকালে মৃতদহ ভাঁসতে দেখে এলাকাবাসী বহরমপুর থানায় খবর দেয়, স্থানীয় বাসিন্দারা দোষী রিন্টু বিশ্বাসের কঠোর থেকে কঠোরতম শাস্তি দাবী করে। এলাকায় চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে পুলিশ প্রহরা দেওয়া হয়েছে। ঘটনার জেরে রিন্টু বিশ্বাস তার বাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: বোলপুর ব্যাঙ্কে লুকিয়ে অনুব্রতর আসল রহস্য? গোড়ায় ঘা সিবিআই-এর!
মনোবিদদের মতে, বর্তমানে কৈশোরকালে হিংসাত্বক ঘটনা ঘটাচ্ছে কিশোররা, এটা খুব চিন্তার বিষয়। তবে কোভিডকালে অনেক কিশোর স্কুলছুট হয়েছেন। ফলে নিজেরা একাকিত্ব বোধ তার সঙ্গে হিংসাত্বক মানসিকতা তৈরি হচ্ছে নিজেদের মধ্যে। যার ফলে এই ধরনের ঘটনা ঘটাচ্ছে। বুধবার দুপুরে দেহ ময়না তদন্তের পর দেহ তুলে দেওয়া হবে পরিবারের সদস্যদের হাতে। কী কারণে এই প্রকৃত খুন তার তদন্ত শুরু করেছে বহরমপুর থানার পুলিশ প্রশাসন।
কৌশিক অধিকারী






