আরও পড়ুন, বছরের শুরুতেই আজ মেগা বৈঠক তৃণমূল কংগ্রেসের, সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কী বলবেন
১৮৮৬ সালের পয়লা জানুয়ারি কল্পতরু রূপে ভক্তদের আশীর্বাদ করেছিলেন ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ৷ কাশীপুর উদ্যানবাটীতে ভক্তদের আশীর্বাদ করে বলেছিলেন, "তোমাদের চৈতন্য হোক৷" এর পর থেকে প্রতিবছর জানুয়ারি মাসের প্রথম দিনে পালিত হয়ে আসছে কল্পতরু উৎসব৷ দু'বছরের করোনা-কাল কাটিয়ে এই প্রথম পয়লা জানুয়ারিতে কল্পতরু উৎসব হচ্ছে। ফলে প্রচুর ভক্ত সমাগম হয় বলে মনে করছেন কান্দি দোহালিয়া রামকৃষ্ণ আশ্রম মন্দির কর্তৃপক্ষ। কল্পতরু উৎসব উপলক্ষ্যে মায়ের মূর্তিকে সাজানো হয়েছে বিশেষ ভাবে। কাঁসর, ঘণ্টা, মন্ত্রপাঠে গম গম করছে মন্দির চত্বর। তিনদিন ধরে চলবে এই কল্পতরু উৎসব বলে জানা গিয়েছে ।
advertisement
আরও পড়ুন, বছরের শুরুতেই আজ মেগা বৈঠক তৃণমূল কংগ্রেসের, সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কী বলবেন
উদ্যানবাটীর এক গাছতলায় দাঁড়িয়ে শ্রীরামকৃষ্ণ তাঁকে জিজ্ঞাসা করেন, ‘তোমার কী মনে হয়, আমি কে?’ জবাবে গিরিশ ঘোষ বলেন, ‘আমার বিশ্বাস আপনি রামকৃষ্ণ পরমহংস। মানবকল্যাণের জন্য মর্ত্যে অবতীর্ণ ঈশ্বরের অবতার।’ জবাবে শ্রীরামকৃষ্ণ বলেন, ‘আমি আর কী বলব? তোমাদের চৈতন্য হোক।’ তারপর রামকৃষ্ণদেব সমাধিস্থ হন। আর, তাঁর প্রত্যেক শিষ্যকে স্পর্শ করেন। পরবর্তীতে রামকৃষ্ণদেবের অনুগামীরা জানিয়েছিলেন, ওই স্পর্শে তাঁদের প্রত্যেকের মধ্যে অদ্ভুত কিছু আধ্যাত্মিক অনুভূতি হয়েছিল। এই ব্যাপারে ঘটনাস্থলে উপস্থিত রামকৃষ্ণ দেবের শিষ্য রামচন্দ্র দত্ত দাবি করেছিলেন, শ্রীরামকৃষ্ণ সেই দিন পুরাণে বর্ণিত কল্পতরুতে পরিণত হয়েছিলেন। রামচন্দ্র দত্ত এই দিনটির নাম দেন কল্পতরু দিবস। যা পরে কল্পতরু উৎসব নামে পরিচিত হয়।
কৌশিক অধিকারী