পরিবারের অভিযোগ, এরপর থেকে স্কুল কর্তৃপক্ষ তাদের সন্তানকে আর এই স্কুলে আসার অনুমতি দিচ্ছে না। স্কুলে এলেও কোনও গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে না, যার ফলে পড়াশোনার ক্ষতি হচ্ছে। যদিও স্কুল কর্তৃপক্ষের দাবি যে ছাত্ররা মারধর করেছিল তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তিনমাসের জন্য সাসপেন্ড করা হয়েছে।
তবে সপ্তম শ্রেণীর ছাত্র নাইদুল রহমানের অভিযোগ, ‘‘ দাদারা আমার চোখের মধ্যে মারে, বেধড়ক মারধরও করেছিল। কিন্তু স্কুলের স্যার আমাদের স্কুলে আসার অনুমতি দিচ্ছেন না। তাই বাধ্য হয়ে বাড়ি চলে যাচ্ছি। একই অভিযোগ সপ্তম শ্রেণীর ছাত্র রেহেন হোসেনের। তার অভিযোগ, আমাদের পড়াশোনা সব বন্ধ, তাই বাধ্য হয়েই জিনিসপত্র নিয়ে বাড়ি চলে যাচ্ছি। এরপর পড়াশোনা কী হবে, ভাবতে পারছি না।
advertisement
আরও পড়ুন : প্লাস্টিক বর্জন করার বার্তা নিয়েই সাজছে হাওড়ার এই মণ্ডপ
মাইদুল রহমানের বাবা হাফিজুল রহমান বলেন, ‘‘ছেলেরা মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছে। এই স্কুলে পড়লে আবার মার খাবে এই আতঙ্কে রয়েছে। ছেলে অসুস্থ হয়ে পড়ছে। এই কারণে বাধ্য হয়ে বাড়ি নিয়ে যাচ্ছি।
আরও পড়ুন : একবেলা টোটো চালিয়ে সংসার চলবে না, আন্দোলনের হুমকি বর্ধমানের টোটো চালকদের
যদিও স্কুলের ভাইস প্রিন্সিপাল রাকেশ কুমার ঝা জানান, জেলা শাসকের কাছে অভিযোগ জানানো হয়েছে, বিষয়টি দেখা হচ্ছে। আগে র্যাগিং-এর ঘটনায় একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রদের বাড়িতে পাঠানো হয়েছে বলে জানান তিনি।