বিভিন্ন ব্রত পালনের মধ্যে দিয়ে জীবনের সুখ শান্তি সমৃদ্ধি বজায় রাখা হয়ে থাকে। এই সব ব্রত গুলির মধ্যে অন্যতম অনন্ত চতুর্দশী। এই চতুর্দশী খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি ব্রত হিসেবে পালন করা হয়। এই দিনটি বিষ্ণুর নামে অনন্ত রুপের পুজো করা হয়ে থাকে। জানা যায়, সর্বপ্রথম পান্ডবেরা পাশা খেলায় মহাভারতের যুদ্ধের আগে এই ব্রত পালন করেছিলেন। তারা কৃষ্ণের থেকে পরিত্রাণ পাওয়ার জন্য উপায় জানতে চেয়ে ছিলেন। তখন কৃষ্ণ তাদের কে জানান পান্ডবেরা পাশা খেলার কারণে মা লক্ষ্মী রুষ্ট হয়েছেন।
advertisement
আরও পড়ুনঃ বিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের খাবারের গুণগত মান বাড়াতে এবার রাঁধুনিদের প্রশিক্ষণ
তাই অনন্ত চতুর্দশীর দিনে বিষ্ণুর পুজোর নিদান দেওয়া হয়। তাই এই অনন্ত চতুর্দশীর পুজো হয়ে থাকে।পুরাণ অনুযায়ী অনন্ত চতুর্দশীর ব্রত কথা যুধিষ্ঠিরের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত। রাজ্যহীন পাণ্ডবদের অনন্ত চতুর্দশীর ব্রত পালনের পরামর্শ দেন কৃষ্ণ। তখন যুধিষ্ঠির কৃষ্ণকে অনন্ত সম্পর্কে জিজ্ঞাস করেন। কৃষ্ণ জানান, অনন্ত আসলে শ্রীহরির স্বরূপ। নিয়ম মেনে অনন্ত চতুর্দশীর পুজো করলে সমস্ত সঙ্কট দূর হয়। কথিত আছে, অনন্ত সংসার মহাসমুদ্রে মগ্নং সমভ্যুদ্ধর বাসুদেব। 'অনন্তরূপে বিনিয়োজয়স্ব হৃনন্তসূত্রায় নমো নমস্তে।'
আরও পড়ুনঃ নশিপুর রেল ব্রিজ পরিদর্শনে সাংসদ আবু তাহের খান, চলছে বাকি অংশের কাজ
অর্থাৎ-- ‘হে বাসুদেব! অনন্ত সংসাররূপী মহাসমুদ্রে আমি ডুবছি। আপনি আমাকে উদ্ধার করুন। নিজের অনন্ত স্বরূপে আমাকে নিযুক্ত করুন। হে অনন্তস্বরূপ। আপনারে বারং বার প্রণাম জানাই।’ সুশীলা এমনই করে। কিন্তু কৌণ্ডিন্য মুনি রাগবশত অনন্ত সূত্র ছিঁড়ে দেন। ফলে তাঁদের জীবনে কষ্ট দেখা দেয়। ক্ষমা প্রার্থনার পর অনন্ত দেব তাঁদের সংকট দূর করেন।
Koushik Adhikary