কথা বলেন জমি দাতাদের সাথে। লোকসভার পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটির চেয়ারম্যান তথা লোকসভা পরিষদীয় দলনেতা অধীর চৌধুরী সহ রেল দফতরের আধিকারিকরা পরিদর্শন করলেন শনিবার। কথা বলেন জমি দাতাদের সাথে। যদিও বর্তমানে জমি দাতারা উন্নয়নের স্বার্থে জমি দিতে ইচ্ছে প্রকাশ করেছেন। তবে তারা চাকরি দাবি করেছেন রাজ্যে সরকারের কাছে। সঞ্জয় কুমার মন্ডল জানান, ৯৭জনকে রেল প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল প্রত্যেক পরিবার কে চাকরি দেবে। কিন্তু ২০১৯ সালে বলা হয় সেই চাকরি স্হগিতাদেশ আছে। তবে চাকরি না দিলে কাজ করতে দেওয়া হবে না।
advertisement
আরও পড়ুনঃ স্কুলের মধ্যেই পাখিদের জন্য বাসা তৈরি করল পড়ুয়ারা!
জমি দাতা চরণ কুমার মন্ডল জানান, আমরা চাই ব্রীজ চালু হোক, দেশ ও রাজ্যের উন্নয়ন হোক। রাজ্যে সরকার আমাদের কে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। তাই এখন নুনতম গ্রুপ ডি বিভাগের চাকরি দেওয়া হোক রাজ্যে সরকারের পক্ষ থেকে । চাকরি না পেলে আমরা সমস্যায় পড়ব। কারণ আমাদের ভিটে জমি সব কিছু আমরা হারিয়েছি। অধীর চৌধুরী বলেন, দীর্ঘদিনের মানুষের দাবি ছিল। ১৯৯৬ সাল থেকে লড়াই চলছে। নসীপুর রেল ব্রীজ নিয়ে আন্দোলন চলছে। ২০০৪ সাল থেকে এটা অনুমতি দিলেও আজকে এখনও চালু হল না। মুর্শিদাবাদ জেলার বড় উন্নয়নের নাম হচ্ছে নসীপুর রেল ব্রীজ। বাংলার উন্নয়নের জন্য রেল তৎপর, রেল দফতর তৎপরতা এই কারণে ইতি মধ্যেই কাজ সম্পন্ন। রাজ্যে সরকারের একটু উদ্যোগ ও প্রশাসনের তৎপরতা গ্রহণ করলেই এই কাজ হয়ে যায় বলে মন্তব্য করেছেন সাংসদ অধীর চৌধুরী।
আরও পড়ুনঃ মালদা থেকে পায়ে হেঁটে যাত্রা তৃণমূল ছাত্র পরিষদের কর্মীর
তবে পরিদর্শনে আসা রেল আধিকারিকরা জানান, নভেম্বর মাসে কাজ শুরু হবে। যা শেষ হবে মার্চ মাসে।অন্যদিকে অধীর চৌধুরীর পরিদর্শনের আগেই জিয়াগঞ্জ আজিমগঞ্জ পৌরসভার চেয়ারম্যান প্রসেনজিৎ দাস তিনি পরিদর্শন করেন নসীপুর রেল ব্রীজ। কথা বলেন জমি দাতাদের সাথে।২০০৪ সালে এই রেল ব্রিজ নির্মাণের কাজ শুরু হয় ৪৬.৭০ কোটি টাকায়। কিন্তু কাজ শুরু হলেও পরে মাত্র ৪৬২ মিটার জমি নিয়ে জট শুরু হয়। ২০১০ সালে এই রেল ব্রিজের উপর দিয়ে ট্রেন চলাচল শুরু করার কথা থাকলেও জমি-জটের কারণে তা আটকে যায়। এই রেল ব্রিজ তৈরি হয়ে গেলে উত্তরবঙ্গগামী ট্রেনগুলিকে বর্ধমান হয়ে ঘুরে যেতে হবে না। হাওড়া অথবা শিয়ালদহ থেকে বহরমপুর, মুর্শিদাবাদ, আজিমগঞ্জ হয়ে সোজাসুজি পৌঁছে যাওয়া যাবে উত্তরবঙ্গে। এক্ষেত্রে দূরত্ব কমবে প্রায় ১১৩ কিলোমিটার।
KOUSHIK ADHIKARY