আর সেই অনুষ্ঠানে প্রচুর মানুষের ভিড় হয়। সেই ভিড়ের সুযোগ নিয়ে কিছু বাংলাদেশি নাগরিক ভারতে অনুপ্রবেশ করে। ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে পরিযায়ী শ্রমিক হিসেবে ছড়িয়ে পড়ে। গতবছর কিছু মানুষ ভারতে বেআইনি ভাবে প্রবেশ করেছিল বলে অনুমান বিএসএফের। এক বছর পর ভারতে থেকে তারা আবার সীমান্তবর্তী এলাকায় ধর্মীয় জালসায় অংশগ্রহণের নাম করে বাংলাদেশে যাওয়ার চেষ্টা করছিল। সেই সময় গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বিএসএফের নজরদারিতে ৮জন বাংলাদেশী নাগরিককে গ্রেফতার করা হয়। আজ শুক্রবার তাদের জলঙ্গী থানার হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। জলঙ্গী থানার পুলিশ শুক্রবার বহরমপুরে জেলা আদালতে পাঠিয়েছে।
advertisement
আরও পড়ুন: টানা ২৮ ঘণ্টা পতাকা বিড়ি কারখানায় তল্লাশি, কী পেল আয়কর দফতর?
তবে বাংলাদেশি নাগরিক অনুপ্রবেশের ঘটনা এই প্রথম নয়। মুর্শিদাবাদ জেলা মুলত সীমান্তবর্তী জেলা হিসেবে পরিচিত ।গত জানুয়ারি মাসে বেআইনি ভাবে ভারতে প্রবেশ করার সময় আহত হন এক বাংলাদেশি নাগরিক। আগেও বেআইনি ভাবে ভারতে ঢোকার চেষ্টা করে ৩ জন বাংলাদেশি নাগরিক এবং তাকে সাহায্য করছিল লালগোলার এক বাসিন্দা।
বিএসএফ সুত্রে জানা গিয়েছে, গুলিতে আহত হন বাংলাদেশি যুবকের নাম মহম্মদ মিঠুন, আহতের বাড়ি বাংলাদেশের গোদাগাড়ি এলাকায়। সে বেআইনি ভাবে সীমান্ত পারাপার করে পশ্চিমবঙ্গ হয়ে চেন্নাই যাওয়ার কথা ছিল বলে বিএসএফ সুত্রে জানা গিয়েছে । মুর্শিদাবাদ জেলার লালগোলার খান্দুয়া এলাকায় বিএসএফ চৌকি আছে, সেদিক দিয়ে অনুপ্রবেশ করছিল ৩ জন বাংলাদেশি নাগরিক।
আরও পড়ুন: ঠিক যেন সিনেমার গল্প, রায়দিঘিতে রাতের অন্ধকারে ডাকাত ধরল পুলিশ
তখন বিএসএফ ধাওয়া করে ৩ জন বাংলাদেশি নাগরিক সহ একজন ভারতীয় কে গ্রেফতার করে এবং মহম্মদ মিঠুন। সে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে আর তখনই বিএসএফ গুলি চালায়। তবে এবার একসঙ্গে ভারতে বেআইনি ভাবে প্রবেশ করে ঢোকার সময়ে বিএসএফের হাতে পাকড়াও হতেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে সীমান্তবর্তী এলাকায় ।সমগ্র ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ প্রশাসন ।
কৌশিক অধিকারী