জানা গিয়েছে, ক্রমশ গঙ্গা নদীর গ্রাসে চলে যাচ্ছে মুর্শিদাবাদের সামশেরগঞ্জের উত্তর ও মধ্য চাচণ্ড গ্রাম ৷ ৫০ মিটার এলাকা নদীগর্ভে তলিয়ে যাওয়ার পর, মধ্যরাত থেকে ধীরে-ধীরে স্থলভাগের আরও ২৫মিটার অংশ নদীতে মিশে গিয়েছে ৷ ফলে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ৭৫ মিটার এলাকাকে গ্রাস করেছে গঙ্গা নদী ৷ এই ভাঙনের জেরে বিপজ্জনক পরস্থিতিতে রয়েছে নদীর তীরবর্তী দু’টি বাড়ি ৷ যে কোনও সময় বাড়ি দু’টি নদীগর্ভে তলিয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে ৷
advertisement
আরও পড়ুন: মুষলধারে বৃষ্টিতে ধসবিধ্বস্ত পাহাড়! দুর্যোগ কী আরও বাড়বে? কী পূর্বাভাস দিল আবহাওয়া দফতর
উল্লেখ্য, মুর্শিদাবাদের সামশেরগঞ্জের উত্তর চাচণ্ড গ্রামে নদীর বাঁধে ধস নামতে শুরু করে ৷ শনিবার সকালে বৃষ্টির পরিমাণ বাড়লে প্রায় কয়েক মুহূর্তে ৫০ মিটার এলাকা নদীতে বিলিন হয়ে যায় ৷ যার জেরে আতঙ্কে ঘরবাড়ি ছেড়ে অন্যত্র আশ্রয় নিতে শুরু করেছে বাসিন্দারা ৷ প্রাণ বাঁচাতে স্থানীয় স্কুলগুলিতে আশ্রয় নিয়েছেন সকলে ৷ এ নিয়ে সামশেরগঞ্জের বিডিও সুজিতচন্দ্র লোধ বলেছিলেন, “ক্ষতিগ্রস্ত নদীপাড়ের উপর নজর রাখা হচ্ছে ৷ কিছু ভূমি ধস হয়েছে ৷ তবে, এখনও কোনও বাড়ি ঘরের ক্ষতি হয়নি ৷”
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
তবে, এই পরিস্থিতি এখনকারই নয় ৷ পুজোর আগে থেকেই গঙ্গা নদীর ভাঙনের জেরে ঘরবাড়ি ছেড়ে নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নিতে শুরু করেছিলেন উত্তর ও মধ্য চাচণ্ড গ্রামের বাসিন্দারা ৷ আতঙ্কের মধ্যে দুর্গাপুজো কাটিয়েছেন এই দুই গ্রামের মানুষজন ৷ বাড়িঘর ছেড়ে, চোখের জলে বহু পরিবারের পুজো কেটেছে ৷ তবে, এবার পরিস্থিতি যা, তাতে বাড়িঘর নদীগর্ভে তলিয়ে যাবে, এই আশঙ্কা করছেন তাঁরা ৷ গ্রামবাসীদের দাবি, প্রশাসন কোনও ব্যবস্থা না নিলে, বহু পরিবারকে গাছতলায় আশ্রয় নিতে হবে ৷