কয়েকশো বছর আগে ঘন জঙ্গলে ঘেরা ছিল এই গ্রাম। ঘন জঙ্গলেই গড়ে উঠেছিল ডাকাত দলের ঠেক। তবে এলাকার ডাকাতরা ছিলেন ধার্মিক। গ্রামে প্রথম ডাকাতরাই শুরু করেছিল কালীপুজো। পাঁচশো বছরের এই কালীপূজো এখন ঋষিপুরের কালীপুজো নামে পরিচিত। সংস্কার করে নির্মাণ করা হয়েছে মন্দির। ঐতিহ্যবাহী ঋষিপুরের কালীপুজোর খ্যাতি জেলা ছাড়িয়ে সর্বত্র। ধর্মের বেড়াজাল ভেঙে হিন্দু মুসলিমের সম্প্রীতির এক অনন্য নজির এই পূজো।
advertisement
আরও পড়ুনঃ পুর্ত দফতরের জমি দখল! হাইকোর্টের নির্দেশে ভাঙা হল বেআইনি নির্মাণ
সমস্ত রীতি ঐতিহ্য মেনে প্রতি বছর কালী পূজোর দিন মহা সমারোহের সঙ্গে পূজিত হন মা। এই কালী পুজোর বিশেষত্ব হল এক মন্ডপে থাকে একাধিক প্রতিমা। এবার ৩৩টি প্রতিমা থাকছে ঋষিপুরের মন্ডপে। জাগ্রত মা কালী কাছে মনস্কামনা পুরণের জন্য অনেকেই পুজো মানত করে। তাই এক মন্ডপে থাকে একাধিক প্রতিমা। এই কালীপুজো সম্পর্কে কথিত আছে নানা জনশ্রুতি। মনস্কামান পুরণে অনেকেই সোনা চাঁদির গয়না দিয়ে পুজো দিয়ে থাকেন মাকে। কিন্তু বিসর্জনের আগে সেই মায়ের গা থেকে কোনো গয়না খোলা হয় না।
আরও পড়ুনঃ ফরাক্কাতে হঠাৎ ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি
গয়না সমেত বিসর্জন দেওয়া হয় মাকে। স্বপ্নাদেশে মায়ের নির্দেশে মন্দিরের দ্বার খোলা রাখা হয় সর্বদা। এই মন্দিরের মায়ের মাহাত্ম্য এতটাই যে সুদূর দিল্লী, মুম্বাই সহ পার্শ্ববর্তী জেলা ও রাজ্য থেকে বহু মানুষ আসে এই মন্দিরে পুজো দিতে। কালী পুজোর কয়েকদিন মেলা ও নানান অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এলাকার হিন্দু মুসলিম সমস্ত জাতি ধর্ম নির্বিশেষে সকলেই এই পুজো উপলক্ষ্যে এক নির্মল আনন্দে মেতে ওঠে।
Koushik Adhikary