সেই থেকে প্রতিবছর দুটি গাছের পুজো হয়ে আসছে। দুটি গাছ পাশাপাশি রোপন করে বিয়ে দেওয়ার প্রধান উদ্দেশ্য ছিল বিশ্ব উষ্ণায়ণকমানো। বর্তমানে বড় বড় গাছ কেটে দেওয়ার ফলে পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে। বিশ্ব উষ্ণায়নের প্রভাব পড়ছে। গ্রীষ্মের সময় গরম বৃদ্ধি পাচ্ছে আবার শীতের প্রচন্ড ঠান্ডা পড়ছে। এই বিশ্ব উষ্ণায়ন থেকে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করতে বেশি পরিমাণে গাছ লাগাতে হবে।
advertisement
সেই লক্ষ্যে এলাকায় বট ও পাকুড় গাছ রোপন করে বিয়ে দেন। কারণ এর ফলে সাধারণ মানুষ গাছ দুটির সঠিক পরিচর্যা করবেন। বর্তমানে গাছ দুটি ঘিরে মন্দির তৈরি হয়েছে। এখানে একটি শিবলিঙ্গ বসানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: West Bardhaman News: জামিন বহাল! আসানসোলে আদালতে হাজিরা দিলেন আব্দুল লতিফ
নিয়মিত পুজো হয়। এদিন বট পাকুড়ের বিবাহ বার্ষিকী উপলক্ষে সুন্দর করে সাজানো হয়েছিল দুটি গাছকে। স্থানীয়রাহাতে যৌতুক নিয়ে উৎসবে সামিল হয়েছিলেন। বিবাহ বার্ষিকী উপলক্ষে পেট পুরে খাওয়া-দাওয়ার ব্যবস্থা ছিল। সব মিলিয়ে বট পাকুড়ের বিবাহ বার্ষিকী বর্তমান যুগের নব দম্পতিদের বিবাহ বার্ষিকেও হার মানিয়ে ছিল এদিন। পুজো কমিটির সদস্য সন্দীপ রায় বলেন, স্থানীয় কয়েকজন ১১ বছর আগে বট পাকুড় গাছ রোপণ করেছিলেন।
আরও পড়ুন: IMD Mocha Update: মোকা এলেও বৃষ্টির ‘মওকা’ আপাতত নেই! দক্ষিণবঙ্গে বাড়বে দহনজ্বালা, বিরাট খবর
তারাই প্রথম বিবাহ দিয়েছিলেন এই দুই গাছের। তারপর থেকে আমরা বিবাহ বার্ষিকী পালন করে আসছি। মূল উদ্দেশ্য বিশ্ব উষ্ণায়ণকমানো। গাছের প্রতি মানুষ যেন সহানুভূতিশীল হয়। গাছের পরিচর্যা ঠিক মতো করেন সেই লক্ষ্যে আমাদের এই অনুষ্ঠানের আয়োজন।
হরষিত সিংহ