আরও পড়ুন: আরও পিছিয়ে গেল এথিক্স কমিটির বৈঠক! কমিটির ভূমিকা নিয়ে ফের প্রশ্ন মহুয়ার
জমিদার নন্দী চৌধুরী জমিদারি ছেড়ে বর্ধমান ফিরে যাওয়ার সময় পাকুয়াহাটের নয়টি গ্রামের বাসিন্দাদের হাতে এই পুজোর দায়িত্ব দিয়ে গিয়েছিলেন। তারপর থেকে গ্রামবাসীরাই জমিদারের কাছ থেকে পাওয়া কালীপুজো করে আসছেন। পুরানো নিয়ম মেনে আজও আদি শ্যামা মায়ের পুজো হয়ে এখানে। মালদহের এই প্রাচীন কালীপুজো কমিটির সদস্য দীপ রায় বলেন, এই পুজো ঠিক কত পুরনো তা সঠিক জানা যায় না। তবে আনুমানিক ২০০ বছরের পুরনো হবেই এই পুজো। আমার ঠাকুরদা-বাবারাও এই পুজো দেখেছেন।
advertisement
এছাড়াও এই পুজোকে ঘিরে নানান লোককথা প্রচলিত আছে। স্থানীয়দের মধ্যে লোকশ্রুতি আছে, শ্যামা মায়ের কাছে যে যা মনস্কামনা করে, মা তাঁদের সেই ইচ্ছে পূরণ করেন। পুরনো রীতি মেনে কালী পুজোর পরের দিনই মায়ের বিসর্জন করে দেওয়া হয়। যদিও আগে পুজোর রাতেই বিসর্জন করা হত সূর্য ওঠার আগেই। কিন্তু বহু দূর দূরান্ত থেকে ভক্তরা মায়ের দর্শন করতে আসেন, তাই এখন পরের দিন বিসর্জন করা হয়। পুরোহিত সঞ্জীব চক্রবর্তী বলেন, আমার বাবা এই পুজো করতেন। তারপর দাদা, এখন আমি এই পুজোর দায়িত্বে আছি। বহু ভক্ত এখানে পুজো দিতে আসেন। শুধু মালদহ নয়, আশেপাশের জেলাগুলি থেকেও ভক্তরা এখানে আসেন।
হরষিত সিংহ