মালদহ জেলার বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে এই সালমা শিল্পীরা। তাঁরা মূলত প্রতিমার সাজ থেকে শুরু করে মন্ডপ সজ্জার বিভিন্ন সামগ্রী তৈরি করে থাকেন। প্রথমদিকে সোলা দিয়েই সমস্ত কিছু কাজ হতো। তবে সময়ের পরিবর্তনে সোলা পর্যাপ্ত মিলছে না। এইদিকে দিনের পর দিন চাহিদা বেড়েছে এই সমস্ত সামগ্রীর। তাই প্রতিমার সাজ থেকে মন্ডপ তৈরীর বিকল্প বিভিন্ন সামগ্রী বাজারে এসেছে। গত বছর পর্যন্ত থার্মোকলের তৈরি বিভিন্ন নকশাই প্রাধান্য পেয়েছিল মন্ডপসজ্জার কাজে। চলতি বছর সরকারিভাবে নিষিদ্ধ করা হয়েছে থার্মোকল। কঠিন এই পদার্থ পরিবেশে মারাত্মক ক্ষতিকর। তাই প্লাস্টিকের সাথে সাথে এই থার্মোকল কে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
advertisement
আরও পড়ুন : উত্তরসূরিদের চাকরির দাবিতে বিক্ষোভ সাফাই কর্মীদের
থার্মোকল নিষিদ্ধ হওয়ায় মন্ডপসজ্জার কাজে প্রভাব পড়েছে। তড়িঘড়ি তার বিকল্প হিসেবে শিল্পীরা বার করেছেন এক ধরনের স্পঞ্জ। থার্মোকলের তুলনায় এই স্পঞ্জ এর দাম বেশি। স্পঞ্জ কেটে নকশাও সহজে করা যাচ্ছে না। স্পঞ্জ এ নকশা তৈরি করতে অনেক সময় সাপেক্ষ। থার্মোকলের নকশা তৈরি করতে খুব অল্প সময় লাগতো শিল্পীদের। কিন্তু স্পঞ্জে অনেক সময় লেগে যাচ্ছে। এতে লাভের পরিমাণও কম। শিল্পীদের বক্তব্য, থার্মোকলে অনেক সুবিধা ছিল, একদিনে অনেক বেশি কাজ করা যেতো। সেই তুলনায় স্পঞ্জ কেটে বেশি কাজ করা যাচ্ছে না। তবে বিকল্প আর অন্য কিছু নেই তাই বাধ্য হয়ে আমাদেরকে এই কাজ করতে হচ্ছে।
আরও পড়ুন : উদ্যান পালন সপ্তাহের সূচনা, বিভিন্ন ফল ও ফুল গাছের চারা বিতরণ
শিল্পীরা বেশি কাজও ধরতে পারছেন না। এমনকি এক বছর স্পঞ্জ কেটে নকশা তৈরি করলে তা কয়েক বছর চলে যাবে। তাতে কাজ মিলবে না শিল্পীদের প্রতিবছর। থার্মোকল প্রতিবছরই ভেঙে যেত। প্রতিবছর নতুন নতুন কাজের বায়না পেতেন শিল্পীরা। স্পঞ্জ দীর্ঘদিন যাবে, শুধুমাত্র মণ্ডপ ব্যবসায়ীদের তা যত্নে রেখে দিতে হবে। শিল্পীদের দাবি এতে অনেকটাই কাজ কমবে তাদের।
হরষিত সিংহ





