বুধবার দুপুরে আরো এক রোগীর আত্মীয় কেপমারির স্বীকার হন। হরিশ্চন্দ্রপুর এলাকার বাসিন্দা আব্দুল করিম নামে ওই যুবক এদিন কেপমারির স্বীকার হন। জানা গিয়েছে, মালদহ মেডিক্যাল কলেজ সংলগ্ন যাত্রী বিশ্রামাগারে বিশ্রাম নেওয়ার সময় দু-তিনজন অচেনা মানুষ তাঁর উপর নজর রাখছিল। যদিও তিনি নিরাপত্তার মধ্যে রয়েছেন বলেই মনে করেছিলেন। কিন্তু সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখেন তাঁর টাকার ব্যাগ নেই। সেই ব্যাগে প্রায় ৫ হাজার টাকা ছিল। এর সাথে ডাক্তারের কিছু নথিপত্র, মোবাইল সব চুরি হয়েছে বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় মেডিক্যাল কলেজ চত্বরে রোগীর আত্মীয়দের বিশ্রামাগারগুলিতে নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
advertisement
আরও পড়ুন- পড়ুয়াদের নিয়ে আলোচনা সভা আন্তর্জাতিক সংগ্রহশালা দিবসে
মালদহ মেডিক্যাল কলেজ সূত্রে জানা গিয়েছে, শুধু রোগীর আত্মীয় পরিজনদের কাছ থেকেই ছিনতাই বা কেপমারি নয়, মেডিক্যালের একাধিক ভবন থেকেও প্রায় মাঝেমধ্যেই চুরি যাচ্ছে বিভিন্ন যন্ত্রাংশ থেকে চিকিৎসা সরঞ্জাম।
আরও পড়ুন- বিদেশে লিচু পাঠানো হবে মালদহ থেকে, বাড়বে জেলার অর্থনীতি
মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে বেসরকারি সংস্থার নিরাপত্তাকর্মী সহ রয়েছে পুলিশ ফাঁড়ি।নিয়মিত পুলিশ ফাঁড়ির কর্মীরা নজরদারি চালান গোটা হাসপাতাল চত্বরে। পুলিশের নিরাপত্তা কর্মীদের নজর এড়িয়েও ছিনতাইয়ের ঘটনা উদ্বিগ্ন বাড়াচ্ছে।
মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল চত্বরে সিসিটিভি রয়েছে। গোটা হাসপাতাল চত্বর জুড়ে রয়েছে সিসিটিভির নজরদারি। তারপরও কিছু কিছু জায়গায় সিসিটিভি ক্যামেরা না থাকার সুযোগ নিয়ে ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটছে বলে মনে করছেন কর্তৃপক্ষ। তাই আগামীতে যে সমস্ত জায়গায় সিসিটিভি ক্যামেরা নেই, সেগুলোতে নতুন করে সিসিটিভি ক্যামেরা বসানোর চিন্তাভাবনা শুরু করেছে মালদহ মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষ।
Harashit Singha