মালদহ জেলার একমাত্র এই স্কুলেই অলচিকি হরফে পঠনপাঠন চলে৷ জেলার বিশাল সংখ্যক আদিবাসী ছেলেমেয়েদের নিজের ভাষায় পড়াশোনার একমাত্র ভরসা এই স্কুল৷ সেখানকার ছাত্রী সুনামি হাঁসদা বলেন, আমাদের স্কুলে ক্লাসরুম না থাকায় অনেক সমস্যা হচ্ছে। হোস্টেলও নেই আমাদের স্কুলে।
আরও পড়ুন: ৪৬ বছর ধরে জলহীন এই গ্রাম!
advertisement
রাজ্য সরকারের উদ্যোগে ২০২০ সালে স্কুলটি প্রাথমিক থেকে জুনিয়র হাইস্কুলে উন্নীত হলেও ক্লাসরুম আর হস্টেলের অভাবে অনেক ছেলেমেয়ে এখানে ভর্তি হতে পারে না৷ তাছাড়া প্রত্যন্ত গ্রামে স্কুল হওয়ায় যোগাযোগ সমস্যাও থেকে গিয়েছে। যদিও দ্রুত স্কুলের পরিকাঠামো উন্নতি করার আশ্বাস দিয়েছেন অবর বিদ্যালয় পরিদর্শক৷ পুরাতন মালদহের ভাবুক গ্রাম পঞ্চায়েতের থুকড়াবাড়ি গ্রামে অবস্থিত জেলার একমাত্র সাঁওতালি ভাষার স্কুল৷ ২০১৪ সালে এই স্কুলটি প্রতিষ্ঠিত হয়৷ তখন অবশ্য শুধুমাত্র প্রাথমিক বিভাগ ছিল৷ ২০২০ সালে এই স্কুলকে জুনিয়র হাইস্কুলে উন্নীত করা হয়৷ অলচিকি হরফ ও সাঁওতালি ভাষা জানা সাতজন শিক্ষকও নিয়োগ করা হয়৷ স্কুলে বর্তমানে পড়ুয়ার সংখ্যা ১০০ জন৷ তবে যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত করা হলে এবং স্কুলে হস্টেল সহ অন্যান্য পরিকাঠামোর উন্নতি হলে ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা অনেক বাড়বে বলে মনে করছেন শিক্ষক ও গ্রামবাসীরা৷
স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক রামা ঠাকুর বলেন, আমাদের স্কুলে পর্যাপ্ত ক্লাসরুম নেই, হোস্টেল নেই। প্রশাসনের কাছে আমরা বহুবার দাবি জানিয়েছি, কিন্তু এখনও সমস্যার সমাধান হয়নি। সমস্যাগুলো সমাধান হলে স্কুলে পড়ুয়া সংখ্যা আরও বৃদ্ধি পাবে বলে মনে করি। অভিভাবকদের দাবি, দ্রুত স্কুলটিকে মাধ্যমিক এবং পরবর্তী ধাপে উচ্চ মাধ্যমিক পর্যন্ত উন্নীত করা হোক। স্থানীয় অবর বিদ্যালয় পরিদর্শক সৌমিত্র সরকার বলেন, স্কুলটির ভবন ও অন্যান্য পরিকাঠামো উন্নয়নের জন্য সংশ্লিষ্ট দফতরে জানানো হয়েছে। আশা করছি দ্রুত সমস্যার সমাধান হবে।
হরষিত সিংহ