ফুলহর নদীর দক্ষিণ তীরে জলস্ফীতির কারণে ব্যাপক ভাঙন শুরু হয়েছে। পাড় ভাঙতে ভাঙতে নদী একেবারে গ্রামের মধ্যে ঢুকে পড়েছে। নদীর পাড় থেকে মাত্র কুড়ি মিটার দূরে অবস্থান করছে জনবসতি। হরিশ্চন্দ্রপুরের ইসলামপুর পঞ্চায়েতের সাত থেকে আটটি গ্রামের মানুষ ভাঙন আতঙ্কে দিশেহারা। তাঁরা কার্যত নিদ্রাহীন রাত কাটাচ্ছেন। মহম্মদ আকাশ নামে এক স্থানীয় বাসিন্দা বললেন, এই গ্রামে আমরা প্রায় ১০০ টি পরিবার বসবাস করি। গ্রাম থেকে নদীর দূরত্ব প্রায় ১০০ মিটার ছিল। কিন্তু ভাঙনের জেরে নদী এখন বাড়ির দোরগোড়ায় এসে হাজির। যেকোনও মুহূর্তে গোটা গ্রাম নদীগর্ভে তলিয়ে যেতে পারে।
advertisement
আরও পড়ুন: কোচ রাজাদের তৈরি ঐতিহ্যবাহী হাটের বেহাল দশা
মালদহ জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, নদী ভাঙনের জেরে ইসলামপুর অঞ্চলের কাউয়া ডোল, রশিদপুর, উত্তর ভাকুড়িয়া, দক্ষিণ ভাকুড়িয়া, মিরপাড়া তাঁতিপাড়া সহ একাধিক গ্রামের খুব কাছে চলে এসেছে নদী। ভাঙনের এই চেহারা দেখে কৃষকেরা নদী তীরবর্তী অঞ্চলে চাষ করা পাট অপরিণত অবস্থাতেই কেটে নিচ্ছেন। খুলে নেওয়া হচ্ছে অস্থায়ীভাবে তৈরি করা কাঁচা বাড়িগুলি। এইভাবে ভাঙন চলতে থাকলে অচিরেই হরিশ্চন্দ্রপুর-২ ব্লকের ইসলামপুর অঞ্চলের বেশ কয়েকটি গ্রাম নদীগর্ভে চলে যেতে পারে বলে আশঙ্কা।
ইলেকট্রিক পোস্টগুলি নদীর তলায় চলে গেলে কার্যত এলাকার ৫ থেকে ১০ হাজার মানুষকে বিদ্যুৎবিহীন অবস্থায় থাকতে হবে। ইতিমধ্যে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ভাঙন পরিস্থিতি খতিয়ে দেখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। নদী তীরবর্তী এলাকার বাসিন্দাদের নিরাপদ স্থানে চলে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতে যে হারে বৃষ্টি হচ্ছে তাতে আগামী দিনে নদী ভাঙনের মাত্রা আরও বৃদ্ধি পাবে বলে আশঙ্কা বিশেষজ্ঞদের।
হরষিত সিংহ