এতে মালদহ রায়গঞ্জ রুটের বেসরকারি বাস পরিষেবা একেবারেই বন্ধ হয়ে পড়েছে। সমস্যায় পড়ছেন নিত্যযাত্রী থেকে সাধারণ যাত্রীরা। স্বল্প পরিমাণে সরকারি বাস চলাচল করে এই রুটে। যাতায়াত করতে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে।এদিকে পুজোর মরশুমে কাজ না থাকায় বিপাকে প্রায় ১৫০ জন বাস কন্ডাক্টর শ্রমিকরা। জানা গিয়েছে, মালদহ- রায়গঞ্জ রুটে প্রায় ৪০টি বাস চলাচল করে নিয়মিত। শ্রমিক রয়েছে ১৫০জন। এক সময় এই রুটের সমস্ত বাস গাজল সদরে প্রবেশ করত।
advertisement
আরও পড়ুনঃ ইংরেজবাজারের দুটি এলাকা থেকে জোড়া দেহ উদ্ধার! চাঞ্চল্য
১২ নম্বর জাতীয় সড়কের বাইপাস রাস্তা চালু হওয়ার পর মালিকপক্ষ সিদ্ধান্ত নেয় মালদহ- রায়গঞ্জ রুটের কোন বাস গাজোল সদরে প্রবেশ করবে না। সরাসরি বাইপাসের উপর দিয়ে বেরিয়ে যাবে। গাজোলের কদুবাড়ি বাইপাস মোড়ে বাসস্ট্যান্ডে দাঁড়াবে এই বাসগুলি। মালিকপক্ষের সিদ্ধান্তে এই রুটে বাস চলাচল শুরু হয়। দুই মাস পার হতে না হতে আবারও মালিকপক্ষ সিদ্ধান্তে বদল আনে। পুনরায় পুরনা রূপে বাস চালানোর জন্য শ্রমিকদের জানানো হয়। এইভাবে একাধিকবার সিদ্ধান্তে বদল নিয়ে আসে মালিকপক্ষ।
বারবার মালিকপক্ষের সিদ্ধান্তের পরিবর্তনের ফলে বিভ্রান্তির শিকার হচ্ছেন যাত্রীরা। যাত্রীদের প্রশ্নের মুখে পড়তে হচ্ছে বাস শ্রমিকদের। এমনকি এমন সিদ্ধান্তে বা শ্রমিকদেরও সমস্যা হচ্ছে গাড়ি চলাচল করাতে। বারবার মালিকপক্ষকে স্থায়ী সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা জানানো হলো কোনো সুরাহা হয়নি। এক সপ্তাহ আগে মালিকপক্ষ ফের বাস চলাচলের সিদ্ধান্তে বদলানায় ক্ষিপ্ত হয়ে আন্দোলনে নামে শ্রমিকেরাএই পরিস্থিতির সঠিক সিদ্ধান্তের দাবি চালককেরা সাতদিন ধরে ওই রুটে বাস চলাচল বন্ধ করে দিয়েছেন।
আরও পড়ুনঃ জমে উঠেছে মালদহের আতশবাজি বাজার, ভালো ব্যবসার আশায় ব্যবসায়ীরা
ফলে সমস্যায় পরেছে বাস চালক ও কন্ডাক্টররা। প্রোগ্রেসিভ বাস অনার্স এসোসিয়েশনের সম্পাদক সুশান্ত তলাপাত্র জানান,আমরা বাস চালাতে চাই। কিন্তুু একটা নির্দিষ্ট সিদ্ধান্ত নিতে হবে। না হলে তারা বিভ্রান্ত হয়ে পরছে। এক জায়গায় বাস দাঁড়ানোর কথা বলা হলেও পরবর্তিতে বাস থামার সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করছেন মালিকেরা। সেই কারনে আমরা বাস চালানো বন্ধ করে নির্দিষ্ট সিদ্ধান্তেহ চাইছি। আর যার ফলে কর্মহীন পরেছে মালদা রায়গঞ্জ রুটের প্রায় ১৫০জন শ্রমিক।
Harashit Singha