সরস্বতী প্রতিমা বিসর্জনের শোভাযাত্রা উপলক্ষে এলাকার একটি পুজো কমিটিকে ডিজে ভাড়া দিয়েছিলেন পরিমল। এক কর্মীকে নিয়ে তিনি নিজেই ডিজের সঙ্গে ছিলেন। কিন্তু গভীর রাত হয়ে যাওয়ায় ডিজের প্রবল আওয়াজ কিছুটা কমিয়ে দিয়েছিলেন। আর তাই নিয়েই পুজো কমিটির সদস্যদের সঙ্গে বচসা বেঁধে যায়। রাত হলেও তারা কিছুতেই ডিজের আওয়াজ কমাতে রাজি ছিল না। এদিকে প্রশাসনের নির্দেশ অনুযায়ী রাত্রিবেলায় উচ্চস্বরে গান চালানো নিষিদ্ধ। ফলে ওই ব্যবসায়ী নিজের সিদ্ধান্তে অটল থাকেন। পুজো কমিটির সঙ্গে তাঁর বচসা চরমে উঠলে পরিমল মণ্ডল বাধ্য হয়ে ডিজে বন্ধ করে দেন। এরপরই ক্ষিপ্ত পুজো কমিটির সদস্যরা তাঁকে বেধড়ক মারধর করে। মাথায় গুরুতর আঘাত পান ওই ডিজে ব্যবসায়ী। তড়িঘড়ি তাঁকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপালে পাঠানো হয়।
advertisement
আরও পড়ুন: বিশ্ব জলাভূমি দিবসের অনুষ্ঠানে কলকাতা ও সংলগ্ন অঞ্চলের সঙ্কটের কথা উঠে এল
অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় স্থানীয় হাসপাতাল থেকে পরিমল মণ্ডলকে মালদহ মেডিকেল কলেজে পাঠানো হচ্ছিল। কিন্তু পথেই তাঁর মৃত্যু হয়। মানিকচক থানার ছোট ধরমপুর এলাকায় ঘটনা। এই ঘটনার পরই এলাকায় প্রবল উত্তেজনা ছড়ায়। মৃত ব্যবসায়ীর পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ পুজো কমিটির তিনজনকে আটক করেছে।
ডিজের সাউন্ড কমানোর নিয়ে পরিমল মণ্ডলকে মারধরের ঘটনায় জড়িত সন্দেহে দিলীপ রবিদাস ও তাঁর দুই আত্মীয়কে আটক করেছে পুলিশ। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান দিলীপ রবিদাসই এই ব্যবসায়ীকে মারধরের ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত। এই ঘটনা প্রসঙ্গে মালদহের পুলিশ সুপার প্রদীপ কুমার যাবদ বলেন, "ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যে তিন জনকে আটক করেছি আমরা।"
পুলিশ সুত্রে খবর, পরিমল মণ্ডলের মাথায় গুরুতর আঘাত লেগেছিল। তার জেরেই মৃত্যু হয়। তবে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসার পরেই পুরো বিষয়টি পরিষ্কার হবে। ডিজে ব্যবসায়ীর মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ গোটা পরিবার।
হরষিত সিংহ