এমনকি চরম অমানবিক আচরণের অভিযোগ মালদহ মেডিকেল কলেজের অর্থপেডিক চিকিৎসকের বিরুদ্ধে। কোন রোগী দুই মাস আবার কেউ পনেরো দিন ধরে হাত, পা ভাঙা অবস্থায় বেডে কাতরাচ্ছেন। কিন্তু অস্ত্রপচার হচ্ছেনা মালদহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ট্রমা কেয়ার ইউনিটে। এই ট্রমা কেয়ার ইউনিটে নাকি রয়েছে অত্যাধুনিক অপারেশন থিয়েটার। তারপরেও বিভিন্ন অজুহাতে চিকিৎসকেরা রোগীর অপারেশন না করে দেরি করাচ্ছেন দাবি রোগীর আত্মীয়দের।
advertisement
রোগীর পরিবারের লোকেদের অভিযোগ, চিকিৎসক অপারেশনের জন্য দিন ধার্য করছেন। কিন্তু সেই দিন রোগীর কিছু না কিছু সমস্যার কথা বলে অপারেশনের দিন পিছিয়ে দিচ্ছেন। দীর্ঘদিন ধরেই এমন চলছে মালদহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। তবে রোগীর আত্মীয়দের অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন মালদহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অর্থোপেডিক বিভাগের চিকিৎসকেরা। বিভাগীয় প্রধানের সাথে ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, এমনটা আমরা কোন দিন করতে পারিনা।
আরও পড়ুনঃ পালিয়ে বিয়ে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর! দোষের ভাগী হল প্রিয় বান্ধবী! তারপর যা ঘটল...
তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মালদহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের এক আধিকারিক বলেন, অর্থোপেডিক বিভাগে যথেষ্ট চিকিৎসক রয়েছেন। পরিকাঠামো রয়েছে। তারপরেও দীর্ঘদিন ধরে এমন অভিযোগ পাচ্ছি আমরা। চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে নিয়মিত ডিউটি না করার অভিযোগ পর্যন্ত রয়েছে। তবে মালদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অধ্যক্ষ পার্থ প্রতিম মুখোপাধ্যায় বলেন, এই ধরনের অভিযোগ আমি এখনো পাইনি।
আরও পড়ুনঃ ডেঙ্গি মশার নিধনে এবার মানুষকে সচেতন করতে অভিযানে শহরের মহিলারা
মেডিকেল কলেজে ভালো চিকিৎসা হয়। যদি এই ধরনের কোন অভিযোগ লিখিতভাবে কেউ করে বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখা হবে। এর আগেও মালদহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রসূতি বিভাগে চতুর্থ শ্রেণীর কর্মী ও নিরাপত্তা কর্মীদের বিরুদ্ধে রোগীদের বেসরকারি নার্সিংহোমে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। এবার খোদ চিকিৎসকের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ।
Harashit Singha