এমনকি পরিবারের লোকেদের বেসরকারি নার্সিংহোমে রোগীকে নিয়ে যাওয়ার জন্য চিরকুট লিখে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল অর্থপেডিক বিভাগের চিকিৎসকের বিরুদ্ধে। খবর প্রকাশিত হতেই তড়িঘড়ি চিকিৎসকের বিরুদ্ধে শোকজ নোটিশ জারি করে মেডিকেল কর্তৃপক্ষ।রোগীকে বেসরকারি নার্সিংহোমে নিয়ে যাওয়ার প্রয়োজন হয়নি। মালদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ট্রমা কেয়ার ভবনে সফল অস্ত্রপাচার সম্পন্ন হয়েছে। বর্তমানে ওই রোগীর অবস্থা স্থিতিশীল। মেডিকেল কলেজের ট্রমা কেয়ার ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় চিকিৎসকদের পর্যবেক্ষণে রয়েছেন।
advertisement
অবশেষে সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা পরিষেবা মেলায় খুশি নিবাস রজকের পরিবার। হাতের সমস্যা নিয়ে গত প্রায় দুই মাস আগে মালদহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন নিবাস রজক নামে বছর পঞ্চান্নর এক ব্যাক্তি। তার হাতে অস্ত্রপচার প্রয়োজন ছিল দ্রুত। কিন্তু অর্থোপেডিক বিভাগের চিকিৎসকের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছিল সরকারি হাসপাতালে অস্ত্রোপচার না করে রোগীকে বেসরকারি নার্সিংহোমে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়ার।
আরও পড়ুনঃ মালদহে পোস্ট অফিস মোড় থেকে সরানো হল বড়দিনের কার্নিভাল
আর্থিক সমস্যা থাকায় রোগীকে নার্সিংহোমে নিয়ে যেতে পারেননি পরিবারের লোকেরা। ওই অবস্থাতে রোগীকে বেঁধে রাখার অভিযোগ উঠেছিল চিকিৎসকের বিরুদ্ধে। গত ২ ডিসেম্বর সেই খবর প্রকাশিত হয়েছিল নিউজ ১৮ লোকালে। এমনকি পরিবারের তরফ থেকে মেডিকেল কর্তৃপক্ষের কাছে একটি লিখিত অভিযোগও জানানো হয়। তারপর এই নড়েচড়ে বসে মেডিকেল কর্তৃপক্ষ।
আরও পড়ুনঃ জেলা প্রশাসনিক ভবনের সামনে চালু হল স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলা পরিচালিত ক্যান্টিন
অভিযোগের বিরুদ্ধে ভিত্তিতে অভিযুক্ত চিকিৎসকের বিরুদ্ধে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করে। তড়িঘড়ি ওই চিকিৎসকদের শোকাজ করা হয়। পাশাপাশি মেডিকেল কলেজের পক্ষ থেকে একটি ১০ জনের তদন্ত কমিটি তৈরি করা হয়েছে। অপরদিকে রোগীর চিকিৎসা করার ব্যবস্থা করেন মেডিকেলের কর্তারা।অবশেষে মালদহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালেই সুচিকিৎসা বেলায় বর্তমানে খুশি, ওই রোগীর পরিবার।
Harashit Singha