নরহাট্টা পঞ্চায়েতের পিছিয়ে পড়া গ্রামগুলির মধ্যে অন্যতম দুর্গাপুর গ্রাম। এক সময় এই গ্রামে পার্শ্বশিক্ষক হওয়ারও যোগ্যতা ছিল না কারোর। সেই গ্রামের বাসিন্দারাই আজ একত্রিত হয়ে নিজেদের ছেলেমেয়েদের শিক্ষিত করতে এগিয়ে এসেছেন।বর্তমানে প্রত্যন্ত এলাকার এই সরকারি প্রাথমিক স্কুল দেখে সকলের চোখ কপালে ওঠার জোগাড়। কী নেই সেই সরকারি স্কুলে? শিশুদের মনোরঞ্জনের জন্য সমস্ত রকম ব্যবস্থা করা আছে। কম্পিউটার থেকে ফুলের বাগান, পার্ক সব আছে। মনীষীদের ছবি দিয়েও গড়ে তোলা হয়েছে স্কুলের দেওয়াল। রয়েছে পরিশ্রুত পানীয় জলাধারের ব্যবস্থা। যা অনেক সরকারি তো বটেই, এমনকি নামিদামি বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকেও হার মানিয়ে দেবে। আর এটা সম্ভব হয়েছে সংশ্লিষ্ট স্কুলের শিক্ষক, শিক্ষাকর্মী ও গ্রামবাসীদের যৌথ উদ্যোগে।
advertisement
আরও পড়ুন: অমৃত ভারতে খড়্গপুর সাব ডিভিশনের ১৯ টি স্টেশনের ভোল বদলে যাবে
ইংরেজবাজার ব্লকের নরহাট্টা পঞ্চায়েতের দুর্গাপুর গ্রামে আসলেই দেখতে পাওয়া যাবে দুর্গাপুর এসপি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি। যা এখন গ্রামবাসীদের নয়নের মণি। ঝাঁ চকচকে নীল-সাদা রঙে গড়ে উঠেছে এই স্কুলটি। বাসিন্দারা জানান, গ্রামের মধ্যে এমন একটা সুন্দর পরিবেশে সরকারি প্রাথমিক স্কুল গড়ে উঠবে তা তাঁরাও কখনও ভাবতে পারেননি। দুর্গাপুর এসপি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক তপন মণ্ডল বলেন, গ্রামবাসীদের ভালবাসার জন্যই আজ এই স্কুল এত সুন্দরভাবে গড়ে উঠেছে। ছোট ছোট শিশুদের বিভিন্ন শিক্ষার মাধ্যমেই সমস্ত রকমের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়ে থাকে। খাওয়া-দাওয়ার আগে কীভাবে হাত পরিষ্কার করতে হয়, তাও শেখানো হয়।গ্রামের বাসিন্দা থেকে শিক্ষকদের যৌথ প্রয়াসে এই স্কুল এক আধুনিক স্কুলে পরিণত হয়েছে। আগামীতে সকলেই চাই এই স্কুলকে আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে।
হরষিত সিংহ