আগাম নির্দেশিকা পেলে রফতানিকারকেরা আগে থেকেই পেঁয়াজ বন্দরে পাঠানো বন্ধ করবেন। মালদহের মহদীপুর স্থলবন্দর দিয়ে প্রতিদিন গড়ে ৫০ লরি পেঁয়াজ বাংলাদেশের রফতানি করা হয়। মালদহের বহু রফতানিকারক বাংলাদেশের পেঁয়াজ পাঠান। স্লট বুকিং থেকে লরিতে পেঁয়াজ বোঝাই করতে হয় অনেক আগে থেকেই। তাই হঠাৎ করে সরকারের পেঁয়াজ রফতানি বন্ধের নির্দেশ আসলে চরম সমস্যায় পড়তে হবে রফতানিকারকদের।
advertisement
আরও পড়ুন: মর্মান্তিক র্ঘটনায় মৃত্যু তরুণ পরিচালকের! রক্তাক্ত অবস্থায় ফেলে রেখে ফোন-ক্যামেরা চুরি করল পথচারীরা
মালদহের রফতানিকারক উজ্জ্বল সাহা বলেন, ”উৎপাদন কম হয় দেশীয় বাজারে পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিগত বছরে আমরা দেখেছি হঠাৎ সরকারিভাবে পেঁয়াজ রফতানি বন্ধের নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। এর ফলে আমাদের রফতানি কারকদের অনেক লোকসান হয়েছে অনেক পেঁয়াজ নষ্ট হয়েছে। দেশের সমস্যা সমাধানে যদি সরকারিভাবে পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ করা হয়, কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে আমাদের আবেদন, রফতানি বন্ধ হলে আগাম যেন নির্দেশিকা দেওয়া হয়।
মহারাষ্ট্রের নাসিক-সহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে মূলত পেঁয়াজ উৎপাদন হয়। গত মরশুমে পর্যাপ্ত পরিমাণে পেঁয়াজ উৎপাদন হয়নি। ফলে পুজোর পর থেকেই দাম বৃদ্ধি পেতে শুরু করেছে। এমনকি দেশীয় বাজারে পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় ভারত সরকারের পক্ষ থেকে পেঁয়াজের রফতানি মূল্য বৃদ্ধি করা হয়েছে। গত অক্টোবর মাসেই সরকারের পক্ষ থেকে এই বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে। বাংলাদেশে ১ টন পেঁয়াজের রফতানি মূল্য বর্তমানে ৮০০ ডলার। দাম বৃদ্ধি করা হয়েছে সরকারিভাবে, এবার যে কোনও মুহূর্তে রফতানি বন্ধের নির্দেশ আসার আশঙ্কা করছেন রফতানিকারকেরা। দেশের চাহিদা মেটানোর জন্য রফতানি বন্ধ করা হলে তা যেন আগাম নির্দেশ জারি করা হয়। এই আবেদন রফতানি কারকদের।
হরষিত সিংহ