রতুয়া ২নং ব্লকের পুখুরিয়া গ্রাম পঞ্চায়েত চৌদুয়ামোড়,আলীনগর ,কুতুবগঞ্জ সহ একাধিক গ্রাম থেকে ৩৭ জন মিজোরামে এই ব্রীজ নির্মাণ কাজে গিয়েছিলেন। তার মধ্যে ১৭জনের এই মৃত্যু হয়েছে বলে জানাচ্ছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। পঞ্চায়েত ভোটের পরই মিজোরামে ব্রীজ তৈরির জন্য শ্রমিক হিসাবে গিয়েছিলেন চৌদুয়ামোড় গ্রামের মোজাফের আলী। তাঁর স্ত্রী আজিরা বিবি বলেন দুই বছর ধরে ভিন রাজ্যে শ্রমিকের কাজে যায়।সকাল ১১টার নাগাদ খবর পায়। ব্রীজ ভেঙে গেছে। স্বামীকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। অপর এক শ্রমিকের স্ত্রী আসিনা খাতুন বলেন দুপুর ১২টার সময় খবর পেয়েছি। ব্রীজ ভেঙে গেছে। জেলায় কাজ নেই। তাই বাইরে কাজ করে খেতে হবে। এখন কি হবে জানা নেই।
advertisement
আরও পড়ুন:
রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জীর মিজোরামের দুর্ঘটনার খবর ট্যুইট করে জানান। মালদহ জেলা শাসক নীতিন সিংহনিয়াকে পরিবারগুলির তথ্য সংগ্রহের জন্য নবান্ন থেকে ফোন মারফৎ নির্দেশ দেওয়া হয়। এরপরই রতুয়া ২নং ব্লকে পুখুরিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের ওই এলাকার পরিবার গুলোর সঙ্গে দেখা করতে যান অতিরিক্ত জেলা শাসক বৈভব চৌধুরী। ঘটনাস্থলে পৌঁছে তিনি জানিয়েছেন, গোটা বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশ মতো দেহ আনতে যা যা ব্যবস্থা প্রয়োজন তা গ্রহণ করা হচ্ছে। আমাদের জেলাশাসক নীতিন সিংহনিয়া মিজোরামের এলাকার জেলাশাসকের সঙ্গে কথা বলেছেন। ১৮ জনের সনাক্ত করা হয়েছে তবে উদ্ধার কাজ শেষ হলে সম্পূর্ণ তথ্য বলা যাবে।
হরষিত সিংহ