তবে সময়ের সঙ্গে বদলেছে সমাজ। বাংলা ১৪৩০ সাল আসার প্রাক মুহূর্তে বাঙালি প্রায় ভুলতে বসেছে বাংলা ক্যালেন্ডার। এখন আর আগের মত কদর নেই। ব্যাবসায়ীদের মতে, বিগত কয়েক বছর ধরে প্রায় ৫০ শতাংশ বাংলা ক্যালেন্ডারের বিক্রি কমেছে। কিছু ব্যাবসায়ী নববর্ষ উপলক্ষে হালখাতা করার জন্য বাংলা ক্যালেন্ডার কিনছেন। তাছাড়া সাধারণ মানুষ নিজে থেকে বাংলা ক্যালেন্ডার একে বারেই কিনছেন না। সেই তুলনায় ইংরেজি সালের ক্যালেন্ডার বিক্রি ভাল হচ্ছে। মালদহের ক্যালেন্ডার ব্যবসায়ী পলাশ আহমেদ বলেন, আগের তুলনায় একটু বিক্রি কমেছে। তবে বাংলা ক্যালেন্ডার এখনও কদর রয়েছে। বিয়ের দিনক্ষণ থেকে শুরু করে বিভিন্ন তিথি ভালভাবে দেখার জন্য ক্যালেন্ডার অবশ্যই প্রয়োজন। তবে আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহারের ফলে বিক্রি কমেছে এটা সত্যি। পাশাপাশি জিনিসপত্রের দামও বৃদ্ধি পেয়েছে।
advertisement
আরও পড়ুন: পঞ্চায়েতের আগে কেমন আছে রায়দিঘি? দেখুন ভিডিও
তবে এখনও বাজারে ইংরেজি নববর্ষের সময় ইংরেজি সালের ক্যালেন্ডার ব্যাপক বিক্রি হয়। আধুনিক প্রযুক্তি একদিকে বাংলা ক্যালেন্ডারের ব্যবহার যেমন কমিয়ে আনছে। অপরদিকে দ্রব্য মূল্য। কাগজ কালির দাম কয়েক বছরে ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে দাম বৃদ্ধি পেয়েছে ক্যালেন্ডারের। চড়া দামে সাধারণ মানুষ কিনছেন না। অপর দিকে ক্যালেন্ডার না কিনেও মোবাইল ফোন সহ বিভিন্ন আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহারে মানুষ ক্যালেন্ডার দেখতে পেয়ে যাচ্ছে। মোবাইল বা ডিজিট্যাল ঘড়িতে প্রতিদিনের অপডেট নিয়মিত মিলছে। এতে নতুন করে ক্যালেন্ডার দেখার প্রয়োজন পড়ছেনা। এছাড়াও মানুষের এখন সময় কম। তাই অল্প সময়ে ডিজিট্যাল মাধ্যমে প্রয়োজন মিটিয়ে নিচ্ছেন।তবে বাংলা ক্যালেন্ডারের এমন হাল হতে থাকলে আগামী কয়েক বছরের মধ্যে হয়তো একেবারেই বিক্রি হবেনা। বিলুপ্তি হতে পারে বাংলা ক্যালেন্ডারের সংস্কৃতি। শুধু মাত্র ডিজিট্যাল মাধ্যমেই হয়তো সীমাবদ্ধ থাকবে বাংলা সালের দিনপঞ্জি।
হরষিত সিংহ