মহিলারা রীতি মেনে মাতৃকূলের উদ্দেশ্যে পিণ্ড দিয়ে থাকেন। পুরোহিত মন্দির প্রাঙ্গনেই রয়েছেন। সারিবন্ধ ভাবে মহিলা একে একে বসে মাতৃকূলের পিণ্ড দেন। তারপর মন্দিরের পাশে গয়েশ্বরী পুকুরে পিণ্ড বিসর্জন দিয়ে স্নান সেরে উঠে আসেন। প্রাচীন পাথরের দেবি গয়েশ্বরীর মূর্তি রয়েছে। এই বছরের মেলার প্রথমদিন থেকে বাংলা সহ বিহার, ঝাড়খণ্ড, নেপাল ভূটান সহ বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বহু মহিলারা এখানে ছুটে আসছেন পিণ্ডদানের উদ্যশ্যে। এক সময় গৌড়ে রামকেলি মেলা হলেও এই গয়েশ্বরী মন্দির প্রাঙ্গন ছিল জঙ্গলে ভরা।
advertisement
মেলার কয়েকটা দিন মহিলারা পিণ্ড দিয়ে ফিরে চলে যেতেন। বর্তমানে মন্দির প্রাঙ্গন পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করা হয়েছে। তৈরি হয়েছে মন্দির কমিটি। উন্নতি হচ্ছে মন্দিরের। মহিলারা সুষ্ঠ ভাবে এখানে এসে পিণ্ড দান করতে পারছেন। মন্দির কমিটির সূত্রে জানা গিয়েছে, এই বছর প্রায় এক হাজার মহিলা এখানে পিণ্ডদান করেছেন। সূর্য্য ওঠার পর থেকেই শুরু হয় পিণ্ডদান। চলে দুপুর পর্যন্ত।
আরও পড়ুন: Sikkim Landslide: সিকিমে ভয়াবহ ধ্বস! ধ্বসপ্রবণ এলাকা থেকে ৩৫০০ পর্যটককে উদ্ধার করল সেনা
প্রথমদিন অর্থাৎ জৈষ্ঠ সংক্রান্তিতে সব থেকে বেশি ভিড় হয়।মন্দিরের সেবায়েত বৈদ্যনাথ মণ্ডল বলেন, এটি গুপ্ত বৃন্দাবন। এখানে প্রাচীন রীতি মেনে মহিলারা মাতৃকূলের পিণ্ডদান করেন।দেশ বিদেশের বহু মহিলারা আসেন।
হরষিত সিংহ