জাল হিসাবে মাছের দাম প্রতি ২০ শতাংশ হারে কর দিলেই গঙ্গা নদী থেকে মাছ ধরা যাবে। মালদহের মানিকচকের গঙ্গা ঘাটের ঘটনা। অবশেষে মৎসজীবীরা একত্রিত হয়ে স্থানীয় পুলিশ ও ব্লক প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েছেন। বেআইনি টাকা তোলার বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।উল্লেখ্য ২০১৫ সালে খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেছিলেন গঙ্গায় মাছ ধরার ক্ষেত্রে মৎস্যজীবীদের কোন কর দিতে হবে না।
advertisement
একই নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্টও। কিন্তু সরকারি নির্দেশকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে গত আট বছর ধরে মালদহের মানিকচক গঙ্গা নদীতে চলছে তোলাবাজি।মৎস্যজীবী বুলবুল চৌধুরী জানান, ‘‘গঙ্গায় মাছ ধরলে আমাদের থেকে টাকা নেওয়া হচ্ছে। ২০ শতাংশ টাকা আমাদের থেকে নিয়ে নিচ্ছে । প্রতিবাদ করলে আমাদের হুমকি দেওয়া হচ্ছে। আমরা এবার প্রশাসনের দারস্থ হয়েছি৷’’
আরও পড়ুন - Sourav Ganguly On Rest: আইপিএলের পর শুধুই বিশ্রাম! টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালে ধারাভাষ্যে ‘না’ দাদা-র
মোথাবাড়ি ধীবর সমবায় সমিতির লিমিটেডের কর্ণধার পঞ্চানন মাহাতোর ও তার দলবলের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ তুলছেন মৎসজীবীরা। দীর্ঘদিন ধরেই বেআইনি ভাবে করের টাকা আদায় করছেন বলে অভিযোগ। যদিও অভিযুক্তের দাবি,সরকারি নিলামে ১১ লক্ষ ৫১ হাজার ৯৯৯ টাকায় লিজ নিয়েছেন তিনি। তাঁর কাছে জলকর আদায়ের বৈধ কাগজ আছে। সেই অনুযায়ী মৎস্যজীবীদের কাছ থেকে জলকর নিচ্ছে। তবে কুড়ি শতাংশ তোলা আদায়ের অভিযোগ অস্বীকার করেন পঞ্চানন মাহাতো। তার দাবি ৫ শতাংশ হারে মৎস্যজীবীদের কাছ থেকে জলকর নেওয়া হচ্ছে।
আরও পড়ুন - IMD Weather Update|| সাগরে ঘনাচ্ছে বিপদ! বাতাস বইবে ঘণ্টায় ৬৫ কিমি গতিতে, কলকাতায় কবে তুলকালাম
মানিকচক বিধানসভার বিধায়ক তথা প্রাক্তন মন্ত্রী সাবিত্রী মিত্র বলেন, এমন কোন সিদ্ধান্ত প্রশাসন থেকে নেওয়া হয়নি। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীও গঙ্গা নদীতে মাছ ধরার ক্ষেত্রে মৎসব্যজীবি জলকর মকুব করেছেন। তবে কেন এমন হচ্ছে তা প্রশাসনকে জানাবো। ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাসও দেন তিনি।অভিযোগ পেয়ে নড়েচড়ে বসেছে প্রশাসন। ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতর এবং মৎস্য দফতরের আধিকারিকদের নিয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে ইতিমধ্যে। কারও বিরুদ্ধে টাকা তোলার অভিযোগ প্রমাণিত হলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে প্রশাসনের পক্ষ থেকে।
Harsita Singha