স্থানীয় বাসিন্দারা বাঁধ রক্ষা করতে গাছ কাটা রুখতে প্রশাসনের নজরদারির দাবি তুলেছেন।মালদহের মানিকচক ব্লকের ভূতনি এলাকা ভাঙন প্রবলিত। ভূতনির এক পাশ দিয়ে বয়ে গিয়েছে গঙ্গা ও অপর প্রান্ত দিয়ে বয়ে গিয়েছে ফুলহার। বন্যা ও ভাঙন থেকে বাঁচতে রিং বাধ রয়েছে। নদীর ভাঙণ থেকে ভুতনির রিং বাঁধকে রক্ষা করতে বৃক্ষরোপণ করা হয়েছিল ২০০০-০১ অর্থবর্ষে। শিশু থেকে আকাশমনি গাছ রোপণ করা হয়। কিন্তু বছর ঘুরতে না ঘুরতেই গায়েব সেই সব বৃক্ষ।
advertisement
আরও পড়ুন- সাপ্তাহিক স্পেশ্যাল ট্রেন, মালদহ থেকে ছুটবে মুম্বই, জানুন সময়সূচি
প্রকাশ্য দিবালোকে ৩০টির বেশি বৃক্ষ নিধন করেছে একদল দুষ্কৃতি। সব জেনেও নিশ্চুপ বন দফতর থেকে পুলিশ প্রশাসন। মালদহ জেলার মানিকচক পঞ্চায়েত সমিতির উদ্যোগে উত্তর চন্ডীপুর ও দক্ষিণ চন্ডীপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ভুতনি রিং বাঁধের প্রায় আড়াই কিলোমিটার এলাকা জুড়ে ১০০০টির বেশী বৃক্ষ রোপণ করা হয়। গঙ্গাঁ ও ফুলহার নদীর প্রবল স্রোতে রিং বাঁধটিকে রক্ষা করার উদ্দেশ্যে এমন পরিকল্পনা করা হয়েছিল। কিন্তু সেই বৃক্ষ আজ যখন পরিপূর্ণ তখন একদল দুষ্কৃতি প্রকাশ্যে নিধন করছে এই বৃক্ষ।
আরও পড়ুন- রাজ্য সরকারের নতুন প্রকল্প পথশ্রী! কেমন এই প্রকল্প? দেখে নিন
স্থানীয় বাসিন্দা শ্যামল বসাকের অভিযোগ, দুষ্কৃতিদের বাড়বাড়ন্ত ব্যাপক হারে। বাঁধ রক্ষা করতে বৃক্ষ রোপণ করা হয়েছিল । যা আজ চারা থেকে বিশালাকার বৃক্ষে পরিণত হয়েছে তা কেটে নেওয়া হচ্ছে । দুষ্কৃতিদের ভয়ে স্থানীয় বাসিন্দারা এই বৃক্ষ নিধনের বিরুদ্ধ কেউ প্রকাশ্যে মুখ খুলতে সাহস পারছেন না। পুলিশ প্রশাসন ও বন দফতর বিষয়টি জেনেও অজ্ঞাত কারণে নিশ্চুপ।
কখনও রাতের অন্ধকারে আবার কখনও প্রকাশ্য দিবালোকে বাঁধের গাছ কেটে নিয়ে যাচ্ছে দুষ্কৃতীরা। বহুমূল্য গাছগুলি কেটে নেওয়ায় বাঁধে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা। মানিকচক পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি কবিতা মন্ডল জানান, এমন ঘটনা জানা নেই। পঞ্চায়েত প্রধানের কাছ থেকে রিপোর্ট নিয়ে বিষয়টি জেনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অনুমতি ছাড়া কোন গাছ কাটা যায় না। সরকারি প্রকল্পে এই বৃক্ষগুলি রোপণ করা হয়েছিল।
হরষিত সিংহ





