অনেক মহিলা কাপড় কারখানায় কাজ করে সংসার চালাচ্ছেন। একসময় কালিয়াচকের বহু মানুষ রাজ্য তথা দেশের বিভিন্ন প্রান্তে কাপড় ফেরি করতেন। তারাই এখন বাড়িতে বসে কাপড় কারখানায় কাজ করে ভাল রোজগার করছেন। মালদহের কালিয়াচক ১ নম্বর ব্লকের গয়েশবাড়ি, সুজাপুর ,চাষপাড়া সহ একাধিক গ্রাম এখন মিনি বস্ত্র কারখানার রূপ নিয়েছে। কোনও সরকারি উদ্যোগে নয়। বেসরকারিভাবেই গড়ে উঠেছে এমন কারখানা। একসময় এই গ্রামের পুরুষেরা মুম্বই দিল্লি পাড়ি দিতেন। সেখান থেকে নিয়ে আসতেন জামা, নাইটি, চুরিদার সহ নিত্যদিন পরিধান করার সামগ্রী। তারপর তা ফেরি করতেন গ্রামে গ্রামে। কিন্তু সময়ের পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে পরিবর্তন হয়েছে তাদের ব্যবসার পদ্ধতি।
advertisement
আরও পড়ুন - FIFA bans AIFF: ভারতীয় ফুটবলে বড় ধাক্কা, CoA ভেঙে দিল , AIFF-র নির্বাচন পিছিয়ে দিল সুপ্রিম কোর্ট
এখন গ্রামেই কাপড় সেলাই করে তৈরি হচ্ছে জামা, নাইটি, চুরিদার সহ একাধিক সামগ্রী। শুধু কি তাই নানা ডিজাইনের জামা, চুরিদারও তৈরি হচ্ছে। গ্রামের হাল বদলে গেছে। গ্রামের মহিলারা অর্থ উপার্জন করছে। সুদিন ফিরেছে সংসারে। পরিবর্তন ঘটেছে করোনা পরিস্থিতিতে। লকডাউনের ফলে ঘরবন্দি হয়ে পড়েছিলেন সকলেই। সেই সময় কালিয়াচকের বহু মানুষ কাজ হারিয়েছিলেন। ভিন রাজ্য থেকে ফিরে এসে বাড়িতেই বসেছিলেন।
আরও পড়ুন - 'পুরাতনই ভিত্তি, নতুনই ভবিষ্যৎ' কলকাতায় জোড়া ফুলের নয়া পোস্টার নিয়ে কটাক্ষ পদ্ম ফুল শিবিরের
সেই সময় স্থানীয়রা নিজেদের উদ্যোগে বাড়িতেই কাপড় সেলাইয়ের মেশিন বসাতে শুরু করেন। অধিকাংশই ব্যাঙ্কের মাধ্যমে ঋণ নিয়ে আধুনিক মেশিন বসানো বাড়িতে। সেই মেশিনের শুরু হয় কাপড় সেলাইয়ের কাজ। দিল্লি -মুম্বই থেকে কাঁচামাল নিয়ে এসে তারা কাজ শুরু করেন ঘরে বসে। চাহিদা বাড়তে থাকায় এখন এলাকার বহু মানুষ বাড়িতে ছোট ছোট কাপড় কারখানা তৈরি করে নিয়েছেন। সেই কারখানায় কাজ করছে এলাকার কয়েক হাজার শ্রমিক। এখন আর ভিন রাজ্যে যেতে হচ্ছে না তাদেরকে কাজে।
স্থানীয় কাপড় কারখানার কর্মী থেকে মালিকদের একাংশের দাবি, ক্ষুদ্র এই গ্রাম্য শিল্পকে উৎসাহিত করুক সরকার। আর্থিকভাবে সাহায্যের ব্যবস্থার পাশাপাশি আধুনিক প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করুক। তাহলে হয়তো আগামীতে আরও উন্নত মানের কাপড় তৈরি হবে কালিয়াচক জুড়ে।
Harashit Singha