বিদেশের বাজারে প্রায় ২০০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয় আমসত্ত্ব। তার পাশাপাশি আমসত্ত্বের সঠিকভাবে বাজারজাত করার জন্য রাজ্য সরকারের সহযোগিতায় উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে মালদহ জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে। মালদহ জেলা জুড়ে আমসত্ত্ব তৈরি হয়। ইংলিশবাজার ব্লকের কোতুয়ালি সহ আশেপাশের অঞ্চলে ভাল আমসত্ত্ব তৈরি করেন প্রস্তুতকারীরা। এই এলাকাগুলির প্রত্যেকেই আমসত্ত্ব তৈরির পেশার সঙ্গে যুক্ত। গোপালভোগ, হিমসাগর, ল্যাংড়া মূলত এই তিনটি প্রজাতির আমের আমসত্ত্ব স্বাদে অতুলনীয়। পড়ে যাওয়া পাকা আম অথবা পাকা আম গাছ থেকে পেড়ে বোটা ছাড়িয়ে প্রায় আধঘন্টা জলে ভিজিয়ে রাখতে হয়। তারপর আমের খোসা ছাড়িয়ে আবার আমগুলিকে প্রায় ১৫ মিনিট জলে ভিজিয়ে রাখার পর পেস্ট করা হয়। তারপর সেই আমের পেস্ট একের পর এক প্রলেপ দিয়ে রোদে শুকাতে হয়। এইভাবে সাত দিন রোদে শুকানোর পর কাটিং করে তৈরি হাওয়া আমসত্ত্ব বাজারে বিক্রি করা হয়।
advertisement
আরও পড়ুন- বুধবার থেকে আবহাওয়ার পরিবর্তনের সম্ভাবনা,উত্তরবঙ্গে বৃষ্টি বাড়বে, কমবে দক্ষিণে
আরও পড়ুন- সাগরদিঘি ‘অস্বস্তি’, প্রার্থী জটিলতা, অশান্তি-সংঘর্ষ! অভিষেকের নজরে মুর্শিদাবাদ
এবছর ভিন রাজ্যের পাশাপাশি বিদেশের বাজারেও জেলার জগৎ বিখ্যাত বিভিন্ন প্রজাতির আম দিয়ে তৈরি আমসত্ত্বের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। ইতিমধ্যেই ভিন রাজ্যের পাশাপাশি বিদেশেও রফতানি শুরু হয়েছে আমসত্ত্ব।মালদহ ম্যাঙ্গো মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি উজ্জ্বল সাহা বলেন, ইতিমধ্যেই আমসত্ত্ব বিদেশে রফতনি করা হচ্ছে। তার পাশাপাশি সরকারিভাবে আমসত্ত্ব তৈরির একটা উদ্যোগ গ্রহণ করা হচ্ছে। তারই সঙ্গে আমসত্ত্বের সঠিকভাবে বাজারজাত করার জন্য রাজ্য সরকারের সহযোগিতায় মালদহ জেলা প্রশাসন উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।
হরষিত সিংহ