জেলার প্রায় প্রতিটি প্রান্ত থেকে এখানে মৃত দেহ নিয়ে আসা হয় দাহ করার জন্য। এক সময় জেলার একমাত্র এই শ্মশানেই ইলেক্ট্রিক চুল্লি ছিল। যার জেরে এখানে ভিড় হত। এখনো এখানেই মানুষ মৃত দেহ দাহ করতে আসেন। শ্মাশানে এসে বিভিন্ন সমস্যার সন্মুখীন হতে হতো। তবে প্রশাসনের উদ্যোগে এখানে সৌন্দর্যায়ন করা হয়েছে। বর্তমানে পর্যাপ্ত আলো, পানীয় জল, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন, তৈরি করা হয়েছে ছোট একটি পার্কমনোরম পরিবেশ, শ্মশান যাত্রীদের জন্য বসার জায়গা মহাশ্মশান জুড়ে উন্নয়নের জোয়ার।
advertisement
আরও পড়ুনঃ লক্ষাধিক টাকার ব্রাউন সুগার উদ্ধার, গ্রেফতার পাচারকারী
বিগত দিনে সন্ধ্যা নামতেই কালো অন্ধকারে ছেয়ে যেত শ্মশান চত্বর। ভয়েতে কেউ আসতেন না। কিন্তু বর্তমানে অভূতপূর্ব উন্নয়ন করা হয়েছে এই মহা শ্মশানের। মালদহ জেলা পরিষদের উদ্যোগে এবং রাজ্য সরকারের একাধিক উন্নয়নমূলক প্রকল্পের মাধ্যমে ঢেলে সাজানো হয়েছে সাদুল্লাপুর মহাশ্মশান। এই বিষয়ে শ্মশানে ঘুরতে আসা এক ব্যক্তি জানান, আগের থেকে অনেক উন্নয়ন হয়েছে। অনেক ভালো লাগছে। ভাবা যাচ্ছে না শ্মশানের এই উন্নয়ন হয়েছে । এখন শ্মশানে ঘুরতে এসে বাড়ি যেতে মন চায় না।
আরও পড়ুনঃ শোভাযাত্রা সহকারে মহাকালীর আগমন, ভূত চতুর্দশীর রাতে অনুষ্ঠিত হল পুজো
শুধুমাত্র মৃতদেহ দাহ করতে নয়, মালদা জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বহু মানুষ এখানে প্রতিদিন আসেন গঙ্গা স্নানের জন্য। নদীঘাট চত্তরগুলি পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করে রাখায় অনেকটাই সুবিধা হয়েছে পূর্ণার্থীদের। ভাগীরথী নদীর প্রতিটি ঘাটেই সিঁড়ি বাঁধানো হয়েছে। নিয়মিত গোটা শশাঙ্ক চত্বর ও নদী ঘাটগুলি পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করা হচ্ছে বর্তমানে। একসময় এই শ্মশানে যেতে মানুষ দ্বিধাবোধ করলেও বর্তমানে অনেকের স্ব-ইচ্ছায় শ্মশানে গিয়ে ঘুরে আসছেন। ঘোরার জায়গাও তৈরি হয়েছে বর্তমানে মালদহের ইংরেজবাজার সাদুল্লাহপুর মহাশ্মশানঘাট।
Harashit Singha