বিশ্বের একাধিক দেশের নানা পাখি নিয়ে আসার তোড়জোড় শুরু করেছেন বন দফতরের কর্তারা। আগামী শীতের মরশুমের আগেই নিয়ে আসা হবে পাখি। এই বছর শীতের মরশুম থেকেই পর্যটকদের কাছে আরও বেশি আকর্ষণীয় হয়ে উঠতে চলেছে মালদহের আদিনা ফরেস্টে।
ফরেস্টের এক প্রান্তে পাখি রাখার পরিকাঠামোর কাজ চলছে। বর্তমানে আদিনা ফরেস্টে পরিযায়ী পাখি দেখতে ভিড় করেন পর্যটকেরা। এছাড়াও এখানে প্রচুর হরিণ রয়েছে। এক সময় বিদেশি কিছু পাখি নীলগাই ছিল আদিনা ফরেস্টে। বিগত কয়েক বছর ধরে আর দেখা যায়না।
advertisement
আরও পড়ুন: নদীতে জল বাড়তেই ভেঙে পড়ল বাঁশের সাঁকো, স্কুলে যেতে পারছে না ছেলেমেয়েরা
শুধুমাত্র পরিযায়ী শামুকখোল প্রজাতির পাখি ও হরিণ দেখা যায়। তাছাড়া শীতের মরশুম শুরু হতেই পরিযায়ী পাখিগুলি এখান থেকে উড়ে যায়। তাই শীতের সময় পর্যটকেরা এখানে এসে তেমন কিছু দেখতে পারেন না। সারা বছর যেন পর্যটকেরা আদিনা ফরেস্টে ভিড় করেন তার জন্যই বন দফতরের কর্তারা এমন উদ্যোগ নিচ্ছেন।
মালদহ ডিভিশন বন দফতরের ডিএফও জিজু জেসফার জি. বলেন, পরিকাঠামো তৈরীর কাজ শুরু হয়েছে। আশা করছি পুজোর পরেই বিদেশি প্রজাতির পাখি নিয়ে আসা সম্ভব হবে। এখন শুধুমাত্র পাখি নিয়ে আসার অনুমতি মিলেছে। পাখি আসলে পর্যটকদেরও ভিড় হবে আশা করছি।সারা বছর এখানে বিভিন্ন প্রজাতির পাখি থাকলে পর্যটক এরা ভিড় করবেন।
পরিযায়ী পাখি হরিণ দেখার পাশাপাশি দেশ-বিদেশের নানান প্রজাতির পাখি দেখতে পারবেন সাধারণ পর্যটকেরা। বন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, মূলত আদিনা ফরেস্টে অস্ট্রেলিয়া ইন্দোনেশিয়া ভারত-সহ বিভিন্ন দেশের পাখি নিয়ে আসা হবে। ককাটেল, অস্ট্রেলিয়ান কাকাতুয়া, বিদেশি প্রজাতির ময়ূর ছাড়াও বিভিন্ন পাখি এখানে রাখার পরিকল্পনা রয়েছে।
মালদহের গাজোলে রয়েছে আদিনা ফরেস্টে। জাতীয় সড়কের পাশে রয়েছে এই ফরেস্ট। ফলে পর্যটকেরা সহজেই এখানে আসতে পারেন। প্রায় সারা বছর কম বেশি পর্যটকেরা এখানে বের করে থাকেন পরিযায়ী পাখির আকর্ষণে। এবার থেকে বিভিন্ন বিদেশি প্রজাতির পাখি নিয়ে আসলে পর্যটকদের কাছে আরও আকর্ষণীয় হয়ে উঠবে মালদহের আদিনা ফরেস্ট। বিদেশি প্রজাতির পাখি আসলে ফরেস্টে আনাগোনা বাড়বে পর্যটকদের।
হরষিত সিংহ