আরও পড়ুন: পণ্যবাহী লরির ধাক্কা স্কুটিতে, মর্মান্তিক পরিণতি শিক্ষিকার
মালদহের এই গ্রামের বাসিন্দা এনামুল হক নিজেদের অসহায়তার কথা বর্ণনা করতে গিয়ে বলেন, আমরা প্রশাসনের কাছে দ্রুত এই রাস্তা তৈরির দাবি তুলছি। রাস্তা ভেঙে গিয়ে আমাদের চলাচল একেবারেই বন্ধ হয়ে গিয়েছে। এটি গ্রামের মূল রাস্তা। অ্যাম্বুলেন্স থেকে শুরু করে স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীরা এই রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করে। তাই আমরা চাই দ্রুত রাস্তা মেরামতি করা হোক।
advertisement
বৈরাট থেকে চিতলিয়া পর্যন্ত প্রায় তিন কিলোমিটার গ্রামীণ সড়ক বেহাল অবস্থায় ছিল দীর্ঘদিন ধরে। সাত বছর আগে তৈরি হয়েছিল ওই রাস্তা। তারপরে আর হয়নি কোনও সংস্কার। দীর্ঘদিন ধরেই রাস্তার একাধিক জায়গায় পিচের চাদর উঠে গিয়ে ছোট বড় গর্ত তৈরি হয়। তারপরও সেই রাস্তা দিয়ে কোনরকমে চলাচল করছিলেন গ্রামবাসীরা। কিন্তু গত তিন দিনের বৃষ্টিতে প্রায় সম্পূর্ণ রাস্তা ধসে গিয়েছে রাস্তা। ধস নেমেছে রাস্তার দুই পাশেও। এদিকে সুরতপুর এবং বৈরাট গ্রামের মানুষকে চাঁচল বা হরিশ্চন্দ্রপুর যেতে গেলে এই রাস্তা দিয়েই যেতে হয়। এটি গ্রামের মূল রাস্তা। স্বাভাবিকভাবেই চরম সমস্যায় পড়েছেন কয়েক হাজার গ্রামবাসী। ভিঙ্গল হাই স্কুল এবং চিতলিয়া হাই মাদ্রাসার ছাত্র-ছাত্রীদেরও পড়তে হচ্ছে সমস্যার মুখে। এই মুহূর্তে রাস্তা একদমই চলাচলের যোগ্য নেই। তাই দ্রুত রাস্তা সংস্কারের দাবি জানিয়েছে এলাকাবাসীরা।
ভিঙ্গল পঞ্চায়েতের প্রধান বর্ষা বসাক বলেন, গ্রামের বাসিন্দাদের চলাচলের জন্য আপাতত অস্থায়ীভাবে রাস্তা মেরামতি করা হবে। এই রাস্তাটি উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন পর্ষদের অধীনে আছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করা হবে রাস্তাটি মেরামতি ও তৈরির জন্য।
হরষিত সিংহ