মালদহের সাদুল্লাপুর ছাড়া আর অন্য কোথাও পাওয়া যায়না এই লুচি। বর্তমানে হাতি পায়য়া লুচির টানে অনেকেই এখানে ছুটে আসেন। তবে এক সময় এই লুচি শুধুমাত্র শ্মশান যাত্রীরা ও গঙ্গাস্নানে আসা সাধারণ মানুষ খেতেন।মালদহের সাদুল্লাপুর একটি হিন্দুদের তীর্থক্ষেত্র। ভাগীরথী নদীর তীরে এই গ্রাম। তবে জেলা জুড়ে সাদুল্লাপুরের নাম মহা শ্মশানের জন্য। কয়েকশো বছর ধরে এখানে ভাগীরথী নদীর তীরে মৃত দেহ দাহ করা হয়। এছাড়াও এখানে বহু মানুষ গঙ্গাস্নানে আসেন। শ্মশান যাত্রীদের জন্যই এক সময় এখানে লুচি বিক্রি শুরু হয়েছিল।
advertisement
আরও পড়ুন: ভয়াবহ ঘটনা এনজেপি স্টেশনে! মৃত এক সেনা, আহত আরও ৪ জওয়ান! কী ঘটল এমন?
স্থানীয়দের কথায়, এই লুচি প্রায় একশো বছরের পুরনো। প্রথমদিকে একটি দোকান ছিল। বর্তমানে এখানে ছয়টি দোকান তৈরি হয়েছে। তিন পুরুষ ধরে এখানে লুচি তৈরি করছেন রতি ঘোষ। তিনি বলেন, আমার ঠাকুরদা এখানে প্রথম হাতি পায়য়া লুচি তৈরি করতেন। সেই দোকানে এখন আমি লুচি তৈরি করছি। আমাদের দোকান প্রায় একশো বছরের পুরনো।সময় বদলেছে, সঙ্গে লুচির দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। কিন্তু লুচির আকারে কোন পরিবর্তন হয়নি। বর্তমানে একশো টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে হাতি পায়য়া লুচি। সঙ্গে সবজি একশো টাকা কেজি। আট থেকে দশটি লুচির ওজন এক কেজি। তবে পিস হিসাবেও বিক্রি হয়। এখানে এক পিস লুচির দাম ২৫ টাকা সঙ্গে সবজি দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: এবার চমকে দিলেন শতাব্দী রায়, কর্মীর বাড়িতে এ কী কাণ্ড ঘটালেন! বিতর্কে ইতি?
অন্যান্য লুচির থেকে এই লুচি খেতেও একটু আলাদা। এই লুচি খেতে মুচমুচে। ছাঁকা তেলে লুচি ভাজা হয়। তাই খেতে মুচমুচে হয়। এখানেই সাধারণ লুচির থেকে স্বাদে ফারাক। ছয়টি দোকানেই একই স্বাদের লুচি পাওয়া যায়। বর্তমানে এই লুচির সুনাম জেলা ছাড়িয়েছে। দূর দূরান্তের বহু মানুষ এখানে আসেন এই বিশাল আকারের লুচির টানে।