কয়েক মিনিটের ঝড়ে গোটা রতুয়া জুড়ে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। এদিন রাত থেকেই বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন অবস্থায় পড়ে রয়েছে রতুয়া গ্রামীণ হাসপাতাল। চিকিৎসাধীন রোগী ও চিকিৎসকরা সমস্যায় পড়েছেন বিদ্যুৎ না থাকায়।ঝড় থেমে যাওয়ার পর থেকেই বিদ্যুৎ দফতরের পক্ষ থেকে মেরামতের কাজ শুরু হয়েছে।
তবে গোটা এলাকা জুড়ে বৈদ্যুতিক খুঁটি ভেঙে পড়েছে। ছিঁড়ে গেছে বৈদ্যুতিক তার। শুক্রবার দিনভর কাজ করার পরেও এলাকার বিদ্যুৎ স্বাভাবিক করা সম্ভব হবে না বলে জানিয়েছেন দফতরের কর্মীরা। যদিও জেলা প্রশাসন ও বিদ্যুৎ দফতরের উদ্যোগে দ্রুত গতিতে কাজ করার চেষ্টা চলছে। দুটি ব্লক জুড়ে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনো জানতে পারেনি জেলা প্রশাসন।
advertisement
আরও পড়ুন- মালদহবাসীর জন্য দারুণ খবর! বিশ্বের দরবারে জেলার আম পেল নিজস্ব পরিচিতি!
এদিন কালবৈশাখীর প্রভাব সবথেকে বেশি পড়েছে রতুয়া এক নম্বর ব্লকের ১০ টি গ্রাম পঞ্চায়তে। পাশাপাশি রতুয়া ২ নম্বর ব্লকের আটটি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় কালবৈশাখীর তাণ্ডব লক্ষ্য করা গিয়েছে। এদিন ঝড়ে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন এলাকার বাসিন্দারা। মোট ১৮ টি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় ক্ষয়ক্ষতি হয় ব্যাপক পরিমাণে। ঘটনার পর থেকেই ব্লক প্রশাসনের পক্ষ থেকে শুরু হয়েছে উদ্ধারকাজ।
আরও পড়ুন- মালদহ মেডিক্যাল কলেজ চত্বরে এ কী কাণ্ড! বিপদে রোগীর আত্মীয়রা!
ইতিমধ্যে ব্লক প্রশাসনের পক্ষ থেকে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণের তথ্য সংগ্রহ করার কাজ শুরু হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দা আব্দুল আলীম বলেন, "৫২ বছর ধরে রতুয়ায় বাস করছি। এমন কালবৈশাখীর তাণ্ডব আগে কোনদিন দেখিনি। এবার এই প্রথম এত ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে আমাদের এলাকায়। আমার বাড়ির উপর এই গাছের ডাল ভেঙে পড়েছে। বাড়ির সামনে আমবাগান। বাগানের প্রায় সমস্ত আম ঝড়ে পড়েছে। আমরা প্রশাসনের কাছে ক্ষতিপূরণের দাবি জানাচ্ছি।"
এদিনের কালবৈশাখীর তাণ্ডবে রতুয়ার আমবাগানগুলিতে ব্যাপকহারে ক্ষতি হয়েছে। চলতি মরশুমে এমনিতে আমের ফলন তুলনামূলক কম হয়েছে। তার ওপর মালদহ জেলার উপর দিয়ে একের পর এক কালবৈশাখীর তাণ্ডব ক্ষতি করেছে আম চাষের। এদিন রতুয়া জুড়ে প্রায় প্রতিটি বাগানেরই ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ আম ঝড়ে পড়েছে। চলতি মরশুমে আমের ক্ষতি হওয়ায় মাথায় হাত পড়েছে স্থানীয় আমচাষিদের। লোকসানের আশঙ্কা করছেন স্থানীয় আম ব্যবসায়ী থেকে আম চাষিরা।
রতুয়া এক নম্বর ব্লকের বিডিও রাকেশ টোপ্পা বলেন, "ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এলাকার বিস্তৃর্ণ এলাকা। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। ঠিক কত পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে সেই তথ্য আমরা দ্রুত সংগ্রহ করার চেষ্টা চালাচ্ছি।"
Harashit Singha