আরও পড়ুন: ৫৮ বছর বয়সে ১০ হাজার মিটার দৌড়ে সোনা শিলিগুড়ির দীপ্তির!
এতদিন পর্যাপ্ত পরিকাঠামো না থাকায় কৃষকদের থেকে পর্যাপ্ত পরিমাণে পাট কিনতে পারছিল না জোট কর্পোরেশন। অবশেষে কেন্দ্রীয় সংস্থাটির মালদহ অফিসের সমস্যা সমাধানে এগিয়ে আসে জেলা প্রশাসন। জেলা প্রশাসনের যাবতীয় সহযোগিতার আশ্বাস পাওয়ার পরই জুট কর্পোরেশন সরাসরি চাষিদের থেকে পাট কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই বিষয়ে জুট কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়ার কর্তাদের সঙ্গে মালদহ জেলা প্রশাসনের একটি বৈঠক হয়। বৈঠকে সেখানে বিভিন্ন সমস্যার কথা তুলে ধরেন দফতরের কর্তারা। তখনই সমস্ত রকম সাহায্যের আশ্বাস দেন মালদহের জেলাশাসক নীতিন সিংহানিয়।
advertisement
এ প্রসঙ্গে জেলাশাসক বলেন, কুইন্টাল প্রতি ৫০৫০ টাকা দরে পাট কেনা হয়। এই দাম যাতে জেলার সকল পাট চাষি পান সেই ব্যবস্থা করা হচ্ছে। জুট কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়াকে সমস্ত সাহায্য করা হবে পাট কেনার জন্য।
বর্তমানে জুট কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে ৫০৫০ টাকা কুইন্টাল দরে পাট কেনা হয়। কিন্তু কৃষকরা সরাসরি কেন্দ্রীয় সরকারের এই দফতরের কাছে পাট বিক্রি করতে পারেন না। ফলে লোকসান স্বীকার করে বিভিন্ন হাটে কৃষকরা চার হাজার থেকে সাড়ে চার হাজার টাকা কুইন্টাল দরে পাট বিক্রি করেন। কিন্তু নতুন ব্যবস্থার ফলে কৃষকদের আর লোকসান হবে না।
গতবছর জুট কর্পোরেশন মালদহ থেকে ৬ হাজার কুইন্টাল পাট কিনেছিল। কিন্তু সমস্যা দেখা দেয় পাট মজুত রাখা নিয়ে। চটকলগুলি পর্যাপ্ত পরিমাণে পাট কেনেনি। ফলে সরকারি গোডাউনের উপর চাপ বাড়ে। চলতি মরশুমে জুট কর্পোরেশন জেলা থেকে প্রায় ৫ হাজার কুইন্টাল পাট কিনেছে। জেলাজুড়ে আরও ২০ থেকে ২৫ হাজার কুইন্টাল পাট আছে। বেশি পাট মজুত করার জায়গা নেই দফতরের কাছে। জেলা প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠকে পাট মজুত রাখার জায়গার দাবি জানান জুট কর্পোরেশনের কর্তারা। তাদের মালদহ শাখার চিফ মার্কেটিং ম্যানেজার বিশ্বনাথ বনশালি বলেন, পাট মজুত রাখা নিয়ে সমস্যা আছে। বিষয়টি জেলাশাসককে জানানো হয়েছে। উনি সব রকম সাহায্য করছেন। মালদহ জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ইতিমধ্যে আগামী ছয় মাসের মধ্যে ত্রিশ হাজার কুইন্টাল পাট মজুত রাখার মতো গোডাউন জুট কর্পোরেশনকে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। জেলার পাট চাষিরা যাতে সঠিক দাম পান তার জন্যই এগিয়ে এসেছে প্রশাসন।
হরষিত সিংহ