এ দিন বেড়েছে ফুলের দাম। দশ টাকায় বড় ফুল তিনটে বিক্রি হচ্ছে। ছোট জবা ফুল ও কুঁড়ি দশ টাকায় পাঁচটি বিক্রি হচ্ছে। চড়া দাম হলেও ক্রেতারা কিনছেন। খুচরো ফুলের থেকে এ দিন বাজারে সব থেকে বেশি চাহিদা জবা ফুলের মালা। সর্বনিম্ন ১০৮ জবার মালা চাহিদা সব থেকে বেশি। ১০৮টি ফুলের মালার চাহিদা সব থেকে বেশি। এ ছাড়াও ৫০১ ফুলের মালার চাহিদা রয়েছে। ফুল বিক্রেতা চাহিদা মতো মালার যোগান দিতে বাজারে বসেই মালা তৈরি করছেন।
advertisement
আরও পড়ুনঃ শিবপুর ওলাবিবিতলার হাজার হাতের কালী, শিহরিত করা কালীপুজোর ইতিহাস
রীতি রয়েছে মা কালির আরাধনায় জবা ফুল দিয়ে পুজো করার। এমনকি মা কালীর গলায় ১০৮টি জবা ফুলের মালা পড়ানোর। বর্তমানে জবা ফুল চাষ কম হয়। ফুলের ব্যাপক ঘাটতি রয়েছে। এমনকি সারা বছর জবা ফুলের তেমন চাহিদা থাকে না। খুব সামান্য পরিমাণ জবা বিক্রি হয়। তবে বর্তমানে জবা ফুলের ঘাটতি মেটাতে কাগজ ও প্ল্যাস্টিকের জবার চাহিদা বাজারে বিক্রি বেড়েছে। অনেকেই জবা ফুল কিনতে পারেন না। এমননি বাজারে মিলছে না ফুল। তাই কাগজের ফুলের চল এখন বেড়েছে।
আরও পড়ুনঃ দুই প্রান্ত থেকে এসেছে জোড়া কালীপ্রতিমা, পুজো শুরু করেন সাধক বামাক্ষ্যাপার প্রধান শিষ্য
কালীপুজোয় বাজারে ফুলের চাহিদা মেটাতে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে জবা ফুল সংগ্রহ করে নিয়ে আসেন বিক্রেতারা। এমনকি বিহার ঝাড়খন্ড থেকেও মালদহের বাজারে ফুল নিয়ে আসা হয়। দীর্ঘদিন ধরে ফুল সংগ্রহ করে হিমঘরে মজুত রাখেন ব্যাবসায়ীরা। সেই ফুল কালীপুজোর সকালে বাজারে বিক্রি করা হয়। সোমবার সকালে মালদহ শহরের রথবাড়ি ফুলবাজারে প্রচুর জবা ফুল ও ফুলের মালা বিক্রি করতে দেখা যায় বিক্রেতাদের। সাধারণ মানুষ জবা ফুল কেনার জন্য ভোর থেকেই ভিড় করেন বাজারে।
শুধুমাত্র রথবাড়ি বাজার নয়, এ দিন সকাল থেকে মালদহ শহরের মকদমপুর বাজার, পুরাটুলি সদরঘাট বাজার, ৩২০ মোড় বাজার-সহ সমস্ত ফুল মার্কেটে শুধুমাত্র জবা ফুল বিক্রি ও কেনার হিরিক নজরে আছে। দাম বেশি হলেও কালীপুজোর জন্য নিজেদের সাধ্যমতো এ দিন ভক্তরা জবা ফুল কিনে নেন।
হরষিত সিংহ