মালদহের গাজোলের আদিনা পঞ্চায়েতের মজলিসবাগ গ্রামে এই হাব তৈরি হচ্ছে। ইতিমধ্যে সেখানে হস্তশিল্পীদের জন্য ভবন এবং আধুনিক যন্ত্রপাতিও বসানোর কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। মূলত বাঁশ এবং পাট দিয়ে তৈরি বিভিন্ন ধরনের হস্তশিল্প এখানে আধুনিক যন্ত্রপাতির মাধ্যমে তৈরি করা হবে। ফলে হস্তশিল্পীদের কাজ যেমন সহজ হয়ে যাবে তেমনই তাঁরা আরও বেশি পরিমাণে উৎপাদন করতে পারবেন। আদিনার মজলিসবাগ গ্রামে বর্তমানে প্রায় ৪০০ জন হস্তশিল্পী আছেন। এই গ্রামের মহিলা-পুরুষ সকলেই হস্তশিল্পের সঙ্গে জড়িত।
advertisement
আরও পড়ুন: জেলাতেও অঙ্গদানে ইচ্ছুক পরিজনের সংখ্যা বাড়ছে, কিন্তু পরিকাঠামোর অভাব
মজলিশবাগ গ্রামের শিল্পীরা বাঁশ এবং পাট থেকে বিভিন্ন ধরনের টেবিল ল্যাম্প, জুয়েলারি বাক্স, পাপোশ, টুপি, ব্যাগ, ট্রে, ঝুড়ি সহ নানান ধরনের ঘরোয়া সামগ্রী তৈরি করেন। শিল্পী প্রমিলা সরকার বলেন, এতদিন আমরা হাতে কাজ করতাম। প্রশাসন আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছে। আধুনিক মেশিন বসিয়েছে। আমাদের কাজে খুব সুবিধা হচ্ছে। এবারে আধুনিক মেশিনের মাধ্যমে সহজেই দ্রব্য সামগ্রী তৈরি করতে পারব আমরা।
মালদহ জেলা শিল্প কেন্দ্র সূত্রে জানা গিয়েছে, এই গ্রামে আধুনিক যন্ত্রপাতি ও হাব তৈরির জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে আড়াই কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। সেই কাজ একেবারে শেষ পর্যায়ে এসে পৌঁছেছে। আগামীতে আরও উন্নত ও আধুনিক যন্ত্রপাতি বসানো সহ বিভিন্ন কাজ করার পরিকল্পনা রয়েছে জেলা শিল্প কেন্দ্রের। এই হাব সম্পূর্ণভাবে তৈরি হলে উপকৃত হবেন এলাকার হস্তশিল্পীরা। এই গ্রামের শিল্পীদের হাতে তৈরি বাঁশের বিভিন্ন সামগ্রীর কদর রয়েছে রাজ্য ও রাজ্যের বাইরে। এখানকার তৈরি সামগ্রীগুলি মূলত ওড়িশা, বিহার ও ঝাড়খণ্ড সহ আশেপাশের রাজ্যগুলিতে পাঠানো হয়। প্রশাসনের উদ্যোগে গ্রামে হস্তশিল্পের হাব তৈরি হওয়ায় শিল্পীদের কাজের গুণগত মান বৃদ্ধি পাবে। ফলে গ্রামে কাজ করে স্বনির্ভর হবেন জেলার এই হস্তশিল্পীদের একাংশ।
হরষিত সিংহ