জিআই স্বীকৃতি পেয়ে আম চাষিদের পাশাপাশি মালদহের রফতানিকারক ও ব্যবসায়ীরাও খুশি। রতুয়ার আম চাষি লোকনাথ কুমার বলেন, জিআই শংসাপত্র পাওয়ায় আম চাষে খুব সুবিধা হবে। বিদেশের বাজারে আম রফতানি করার সময় আর সমস্যায় পড়তে হবে না। জিআই শংসাপত্র থাকায় সহজে আম বিক্রি করা যাবে।
আরও পড়ুন: বর্ষায় কাঁচা মাটির রাস্তা যেন মরণ ফাঁদ! কবে মিলবে সুরাহা? প্রশ্ন স্থানীয়দের
advertisement
জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে মালদহ টাউন হলে এই তিন প্রজাতি আমের ক্ষেত্রে জিআই শংসাপত্র চাষিদের হাতে তুলে দেওয়া হয়। জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ২৩২ জন কৃষক এই শংসাপত্র গ্রহণ করেন। সম্পূর্ণ জৈব পদ্ধতিতে হিমসাগর, ফজলি ও লক্ষণভোগ উৎপাদন করেন জেলার কৃষকরা। জিআই তকমা দেখলেই আমের সম্পূর্ণ গুণগত মানের বিষয়টি নিয়ে আর কোনও ক্রেতা, রফতানিকারক অথবা ব্যবসায়ীদের মধ্যে সন্দেহ থাকবে না। আম চাষিরা জানান, জৈব পদ্ধতিতে আম চাষ করলেও ফজলি, হিমসাগর, লক্ষণভোগ ভিন রাজ্য অথবা বিদেশে যেতে গেলে তার গুণগতমান যাচাই করা হতো। আমের স্বাদ কেমন, এই আম উৎপাদনের ক্ষেত্রে কী ধরনের সার প্রয়োগ করা হয়েছে, এই প্রজাতির আমের ফলন কবে হয়েছে, কোন পদ্ধতিতে চাষ করা হয়েছে, এরকম আরও নানান পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলত দেশ ও বিদেশের বাজারে। তারপরই এইসব প্রজাতির আমের গুণগত মান যাচায়ের পরই সেগুলি বাজারে বিক্রি করা হত। কিন্তু সবদিক খতিয়ে দেখে বিচার করার পরই লক্ষণভোগ, হিমসাগর এবং ফজলি আমের জিআই তকমা দিয়ে সরাসরি চাষি ও ব্যবসায়ীদের আম উৎপাদনের ক্ষেত্রে ভরসা জুগিয়েছে।
এর ফলে যেমন দেশ-বিদেশের বাজারে মালদহের এই তিন প্রজাতির আমের নাম ছড়াবে। তেমনই গুণগত মান নিয়ে আর কোন সন্দেহ থাকবে না। অনায়াসে জিআই স্বীকৃতি দেখে এই আম কিনতে পারবেন সাধারণ মানুষ। মালদহের জেলাশাসক নীতিন সিংহানিয়া বলেন, জেলার হিমসাগর, লক্ষণভোগ ও ফজলি এই তিন প্রজাতির আম জিআই তকমা পেয়েছে। কৃষকদের মধ্যে জিআই শংসাপত্র বিতরণ করা হল। আগামীতে অন্যান্য প্রজাতির আমেরও জিআই আবেদন করা হবে।
হরষিত সিংহ