আরও পড়ুন: এবার রবিবারেও খোলা থাকবে সরকারি হাসপাতালের প্যাথলজি বিভাগ, হবে এই গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষা
বৃষ্টির জেরে এমন বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে স্থানীয় বাসিন্দা বাপি ঘোষ বলেন, বাড়িঘর ছেড়ে রেল লাইনের ধারে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছে। আমাদের এলাকায় কোনও নিকাশি ব্যবস্থা নেই। পরিবার নিয়ে চরম সমস্যায় আছি। ডেঙ্গি আতঙ্ক তাড়া করছে এমন পরিস্থিতিতে।
advertisement
জমা জল কি ভাবে সরানো যায় সেই চিন্তায় এখন রাতের ঘুম উড়েছে পুরসভার কর্মীদের। ইতিমধ্যেই মঙ্গলবার জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জরুরি বৈঠক ডাকা হয়েছে। জমা জলের সমস্যা সমাধানে এই বৈঠক করা হবে। শনিবার রাতে বৃষ্টির জেরে পুর নাগরিকরা জলবন্দী হয়ে রয়েছেন। ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের নেতাজি কলোনি এলাকার বাসিন্দারা ঘর ছাড়া হয়েছেন। অস্থায়ীভাবে খোলা আকাশের নিচে ত্রিপল টাঙিয়ে বসবাস করছেন। ৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলরের বাড়িও জলমগ্ন হয়ে রয়েছে। এই প্রসঙ্গে ৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মনীষা সাহা মণ্ডল বলেন, সবচেয়ে সমস্যা আমার ওয়ার্ডে। গোটা এলাকায় জল জমে রয়েছে। কবে এই জল সরবে হবে জানা নেই। জেলা প্রশাসন, মহকুমাশাসক কী ব্যবস্থা নেবেন আমি জানি না। আমার যা কিছু করণীয় ছিল আমি করেছি। বিলে জল জমে রয়েছে, সেই জল বাইরে না বেরোলে আমার এলাকার জল বেরোবে না।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, এই অঞ্চলের বেশকিছু এলাকায় এখনও নিকাশি ব্যবস্থা তৈরি হয়নি। কিছু নিকাশি ব্যবস্থা রয়েছে, তবে সেগুলিরও বেহাল অবস্থা। এই অবস্থায় দ্রুত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না আনলে জলবাহিত রোগ এবং ডেঙ্গি ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কায় ভুগছেন তাঁরা। ইংরেজবাজারের পুরপ্রধান কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরী বলেন, জল অনেকটাই কমে গিয়েছে। আমরা চেষ্টা করছি বিকল্প প্ল্যান করার। সহজে জল কীভাবে বাইরে বার করা যাবে সেই ব্যবস্থাই করা হচ্ছে।
হরষিত সিংহ