এই ছবি নিয়ে এখন মালদহের জনসাধারণের মোবাইলে মোবাইলে ঘুরছে। অনেকেই ফোন করে ডেকে নিচ্ছেন দুয়ারে মালিশ যুবক নিতাই প্রামাণিককে।
কেউ অফিসে অবসর সময়ে, আবার কেউ খোলা আকাশের নীচে বসেই মালিশ করাচ্ছেন। মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুর থানার ভিঙ্গল গ্রামের বাসিন্দা নিতাই প্রমানিক। একসময় গ্রামে গ্রামে ঘুরে ক্ষৌরকার্য করত। কিন্তু তাতে রোজগার অনেক কম। সরকারের দুয়ারেসরকার কর্মসূচি থেকেই তাঁর মাথায় এমন চিন্তা ভাবনা আসে। দুয়ারে সরকারের অনুকরণে দুয়ারে মালিশ।
advertisement
আরও পড়ুন: অ্যাসিড ও লঙ্কার গুঁড়ো দিয়ে বিকৃত করা হয়েছে মুখ! ধর্ষণ করে খুন ?
‘দুয়ারে মালিশ’ লেখা পোস্ট নিয়ে মালদহের বিভিন্ন প্রান্তে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। রোজগারও ভাল হচ্ছে। মানুষ বাড়িতে বসেই পেয়ে যাচ্ছেন পরিষেবা।আবার নানাধরনের গাঁটের ব্যথা থাকলে সেটিও মালিশের মাধ্যমে ঠিক করে দেন।অনেকে খুশি হয়ে কেউ হাজার টাকার চেক দিয়েছেন। আবার কেউ নগদ মোটা টাকা দিয়েছেন।
নিতাই প্রামাণিক বলেন, ‘‘আমি ঘুরে ঘুরে মালিশ পরিষেবা দিচ্ছি। তাই দুয়ারে মালিশ। সমাজ সেবা করার ইচ্ছে থেকেই এই প্রয়াস। অসুস্থ ব্যক্তিরা সেলুন যেতে পারেন না। তাঁদের জন্য এই প্রয়াস। আমি দুঃস্থদের বিনামূল্যে মালিশ করি।’’ নিতাইবাবুর নির্দিষ্ট কোনও পারিশ্রমিক নেই। প্রতিবন্ধী ও ভিক্ষুকদের জন্য সম্পূর্ণ বিনামূল্যেই দুয়ারে মালিশ করে দেন।
পাশাপাশি আবার দুয়ারে নাপিত হয়েও চুল , দাড়ি কাটার পরিষেবা দিয়ে থাকেন। নিতাই প্রমানিক দুঃস্থ পরিবারের হলেও ছোট থেকেই তার সামাজিক গঠনমূলক কাজকর্ম করার ইচ্ছে ছিল। বাবার হাত ধরেই মালিশ এবং ক্ষৌরকারের কাজ তিনি শিখেছেন। মূলত ৩০০ টাকা করে মালিশের জন্য নিয়ে থাকেন। তবে ব্যক্তি বিশেষে তার অনেক কম টাকায় করে থাকেন। এভাবেই রাস্তায় ঘুরে ঘুরে দুয়ারে মালিশ পরিষেবা দিয়ে যাবেন নিতাইবাবু।
হরষিত সিংহ