নিয়মিত তারা মেডিকেলের হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ড থেকে নোংরা নিয়ে এসে ভ্যাটে জমা করছে।আবার ভ্যাটে জমা রাখা চিকিৎসা সংক্রান্ত কঠিন ও বায়ো বর্জ্য আলাদা করে নির্দিষ্ট গাড়িতে ওঠানোর কাজ করছে। মস্ক, গ্লাভস ছাড়াই ভ্যাটে কাজ করছে তারা। মাসিক চুক্তির ভিত্তিতে সেখানে কাজ করছে এই কিশোরেরা। যদিও সাফাইয়ের দায়িত্বে থাকা ঠিকা সংস্থার কর্তাদের দাবি, তারা কোন শিশু বা কিশোরকে কাজে লাগায় নি।
advertisement
প্রতিদিন ভ্যাটে কিছু শিশু এসে নোংরার মধ্যে থেকে প্লাস্টিকের বোতল বা অন্যান্য সামগ্রী কুড়িয়ে নিয়ে যায়। ঠিক আছে অস্বীকার করলেও, প্রকাশ্য ছবিতে ধরা পড়েছে বেশ কয়েকজন কিশোর ও শিশু ট্রলিতে করে নোংরা নিয়ে এসে হাসপাতালের ভ্যাটে জমা করছে। যদিও ঠিকা সংস্থার দায়িত্বে থাকা সাফাই কর্মীদের সুপারভাইজার বলেন, ওই শিশুদের তিনি চেনেন না। এমনকি ভ্যাটে কাজ করতে কোন দিন দেখেনি। তবে তিনি মেডিকেল কর্তাদের কাছে আবেদন জানিয়েছেন ভ্যাটের উন্মুক্ত সদর দরজায় তালা দেওয়ার ব্যবস্থা করা জন্য। তবেই বাইরের কেউ প্রবেশ করতে পারবেনা।
সরকারি মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে শিশুশ্রমের বিষয়টি জানতে পেরে নড়েচড়ে বসেছে মেডিকেল কর্তৃপক্ষ। যদিও এমন কোনো অভিযোগ মেডিকেলের কর্তাদের কাছে জমা পড়েনি। তবে সংবাদমাধ্যমের কাছে অভিযোগ টি পেয়ে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে এমএসভিপি পুরঞ্জয় সাহা। তিনি বলেন, শিশুশ্রম দন্ডনীয় অপরাধ। যদি এমনটা হাসপাতালে হয়ে থাকে আমরা সংশ্লিষ্ট সংস্থার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
হরষিত সিংহ