আরও পড়ুন: ডোকরার গয়নার হাত ধরে ঘুরে দাঁড়িয়েছে গোটা গ্রাম, চাহিদা বাড়ছে ভিন রাজ্যে
গত বর্ষায় মালদহে একাধিক নৌকা ডুবির ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু তা থেকে শিক্ষা নেয়নি কেউ। দুর্ঘটনার সময় প্রশাসনের পক্ষ থেকে নৌকার ঘাটগুলিতে কড়া নজরদারির কথা বলা হলেও বাস্তবে তেমন কিছু দেখা যাচ্ছে না। এইভাবে চলাচল করতে গিয়ে আতঙ্কে ভুগছেন যাত্রীরা। কিন্তু তাঁরাও নিরুপায় হয়েই প্রাণ হাতে নিয়ে নৌকায় চেপে বসছেন। এই পরিস্থিতিতে আরও এক চাঞ্চল্যকর অভিযোগ যাত্রীদের, জেলার একাধিক খেয়া ঘাটে অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে চলাচল করছে নৌকা।
advertisement
একে নৌকাগুলিতে লাইফ জ্যাকেট থাকছে না, তার উপর উত্তাল নদীতে অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে চলাচল করায় যে কোনও মুহূর্তে বড় বিপদ ঘটার আশঙ্কা থাকছে। মালদহে প্রবল বৃষ্টি না হলেও উত্তরবঙ্গের বাকি জেলাগুলিতে অত্যধিক বর্ষণের জেরে নেমে আসা জলে ভর্তি হয়ে ফুঁসে উঠেছে জেলার মহানন্দা, ফুলহর, টাঙ্গন ও গঙ্গা। ভরা মহানন্দায় ঝুঁকি নিয়েই চলছে নৌকা পারাপার। সেখানে দেখা গেল ছোট একটি নৌকায় প্রায় ৩০ জন যাত্রী তুলে নদীর বুকে পাড়ি দিলেন মাঝি।
প্রতিদিন দুই শতাধিক মহিলা পুরনো মালদহের সাহাপুর এলাকা থেকে নদী পার হয়ে ইংরেজবাজারে ঠিকে ঝি-এর কাজ করতে। তাঁরাও এইভাবে ঝুঁকি নিয়েই নদী পারাপার করছেন। এই প্রসঙ্গে নৌকার মাঝে স্বাধীন হালদার জানান, বাধ্য হয়েই তাঁরা ঝুঁকি নিয়ে নদী পারাপার করেন। প্রশাসনের পক্ষ থেকে লাইফ সাপোর্ট হিসেবে দুটি টিউব এবং একটি লাইফ জ্যাকেট দেওয়া হয়েছে। তবে নৌকা বিপদে পড়লে এতো সামান্য উপকরণে যে সকলের প্রাণ বাঁচানো যাবে না তা নিজের মুখেই স্বীকার করলেন ওই মাঝি। তাঁর দাবি, প্রশাসন এই বিষয়ে আরও সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিক।
হরষিত সিংহ