আরও পড়ুন Puja travel: চটকপুরের চটকে মজুন, অপরূপা কাঞ্চনজঙ্ঘা এখানে একেবারে ঝিকমিক করবে
ইতিমধ্যে জেলার বিভিন্ন প্রান্তের কৃষকদের মধ্যে এই ফলের চারাগাছ বিতরণ করা হয়েছে। এই গাছ চাষের পদ্ধতি কৃষকদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে উদ্যান পালন দফতরের পক্ষ থেকে। চলতি মরশুমে এই গাছের চারা জেলার বেশ কিছু এলাকায় রোপন করা হয়েছে। ফল আসতে আগামী বেশ কয়েক বছর সময় লাগবে। পাইলট প্রজেক্ট হিসাবে এবার পরীক্ষামূলকভাবে মালদহ জেলার প্রায় প্রতিটি ব্লকেই এই গাছের চারা লাগানো হয়েছে। আগামী কয়েক বছরের মধ্যে সাফল্য মিলে প্রচুর পরিমাণে এই গাছ লাগানোর পরিকল্পনা রয়েছে জেলা উদ্যান পালন দফতরের।
advertisement
মালদহ জেলা উদ্যান পালন দফতরের আধিকারিক সামন্ত লায়েক বলেন, মূলত পাহাড়ি শীত প্রধান অঞ্চলে এই ফল চাষ হয়। পুষ্টিগুণে ভরপুর এই ফল খুব উপকারী। সমতলের মালদহে এই ফল চাষ করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। পাইলট প্রজেক্ট হিসাবে প্রথম ধাপে কৃষকদের চারা গাছ বিতরণ করা হয়েছে। ভাল মানের ফল হলে আগামীতে আরো গাছ লাগানো হবে।
দেখুন তাঁর ছেলেবেলার গল্প থেকে ছেলের সঙ্গে সম্পর্ক, মুখ খুললেন ঋত্বিক চক্রবর্তী
মালদহ জেলা উদ্যান পালন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, চলতি মরশুমে ৫০ টি অ্যাভোকাডো চারা গাছ কৃষকদের মধ্যে বিতরণ করা হয়েছে। হবিবপুর, বামনগোলা গাজোল, পুরাতন মালদহ রতুয়া এই ব্লকের কৃষকদের মধ্যেই মূলত অ্যাভোকাডো চারা গাছ দেওয়া হয়েছে।মূলত শীত প্রধান পাহাড়ি অঞ্চলে অ্যাভোকাডো চাষ হয়। বিশাল আকৃতির হয় গাছ।
পশ্চিমবঙ্গের কালিম্পং জেলার অধিকাংশ অঞ্চল জুড়ে এই ফলের ব্যাপক চাষ হয়। পুষ্টিগুণে ভরপুর এই ফলের চাহিদা প্রতিটি জায়গায়। এই ফলে সাধারণত প্রোটিন, ফ্যাট ও পুষ্টি প্রচুর পরিমাণে রয়েছে। যে কোনও রোগের ক্ষেত্রে এই ফল খুবই উপকারী। তাই বাজারে ব্যাপক চাহিদা এই ফলের। এমনকি বহু মূল্যে বিক্রি হয়ে থাকে পাহাড়ি এই ফল। তাই এই ফল এবার সমতলের চাষের পরিকল্পনা। বহু রোগের উপকারী এই ফল সাধারণ মানুষের মধ্যে যে হারে চাহিদা রয়েছে তা পূরণ করার লক্ষ্যেই মালদহ জেলা উদ্যানপালন দফতরের এমন উদ্যোগ। এই ফল সফলভাবে চাষ করতে পারলে জেলার কৃষকেরা আর্থিকভাবে অনেকটাই উপকৃত হবেন। তবে আবহাওয়া পরিবেশ এমনকি মাটি অনেকটাই নির্ভর করছে এই গাছ চাষের ক্ষেত্রে। সমতলের সঙ্গে পাহাড়ি অঞ্চলের আবহাওয়া মাটির অনেক তফাৎ রয়েছে। সে জায়গায় মালদহে এই ফল চাষ কতটা সফল হবে তা সময় বলবে।
হরষিত সিংহ