মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, সাধারণ রোগীরা মেডিক্যাল কলেজের বর্হিবিভাগে চিকিৎসা করানোর পর যদি এমআরআই , ডিজিটাল এক্সরে অথবা পিপিই মডেলের অন্যান্য চিকিৎসা পরিষেবার প্রয়োজন হয়, সেক্ষেত্রে স্বাস্থ্য সাথী কার্ড অথবা আধার কার্ড বাধ্যতামূলক বলে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষ। মালদহ মেডিক্যাল কলেজ সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রতিদিনই হাসপাতালে গড়ে ৪০ থেকে ৫০ জন রোগী ভর্তি হন। এছাড়াও বর্হিবিভাগে গড়ে অন্তত ৩০০ থেকে ৪০০ রোগী বিনামূল্যে চিকিৎসার পরিষেবা পান। সেই সব ক্ষেত্রে রোগীদের নির্দিষ্ট পরিচয় নথিভুক্ত করে রাখার জন্যই স্বাস্থ্য সাথী কার্ড অথবা আধার কার্ডের ব্যবহার বাধ্যতামূলক করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
advertisement
অনেক ক্ষেত্রে দেখা গেছে সরকারি চিকিৎসা পরিষেবা পাওয়ার ক্ষেত্রে অনেক সময় রোগী ও তার আত্মীয়েরা নিজেদের নাম অথবা ঠিকানা সঠিক ভাবে বলতে পারেন না। রোগীর বয়স নিয়েও অনেক সময় নানান জটিলতা সৃষ্টি হয়। সে ক্ষেত্রে এই সরকারি পরিচয় পত্র থাকলে সমস্যার সমাধান হবে। রাজ্য সরকারের তরফ থেকে নির্দেশিকা জারি করার পর জেলা প্রশাসনিক ভবনে সাধারণ মানুষের সুবিধার জন্য তিনটি কাউন্টার খোলা হয়েছে। প্রতিটি কর্মদিবসে জেলা প্রশাসনিক ভবনে সাধারণ মানুষকে পরিষেবা দেওয়া হচ্ছে। সেখানে আধার কার্ডের সাথে স্বাস্থ্য সাথী কার্ডের লিংক করানো হচ্ছে। এছাড়াও অনলাইনের মাধ্যমেও উপভোক্তারা তাদের আধারের সাথে স্বাস্থ্য সাথীর কার্ড লিংক করাতে পারবেন।
মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের এমএসভিপি ডক্টর পুরঞ্জয় সাহা বলেন, স্বাস্থ্য সাথী কার্ডের সাথে আধার লিংক করানোর নির্দেশ এসেছে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর থেকে। জেলা প্রশাসনিক ভবনে তিনটি কাউন্টার রয়েছে। এছাড়া বাংলা সহায়তা কেন্দ্র রয়েছে, যে কোন জায়গা থেকেই স্বাস্থ্য সাথী কার্ডের সাথে আধার লিংক করা যাবে। সাধারণ মানুষের মধ্যে সচেতনতা বাড়ানোর এর মূল লক্ষ্য। তবে চিকিৎসার কোনো খামতি হবে না। সরকারের নির্দেশিকা অনুযায়ী চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়া হবে।
Harashit Singha