এই অবস্থায় মালদহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনে দেহ নিয়ে অপেক্ষায় পরিবার। জানা গিয়েছে, বাংলাদেশের চাঁপাইনবাবগঞ্জের বেনীচক গ্রামের দুই বাসিন্দা ভারতে ঘুরতে আসেন। মালদহে তাঁদের আত্মীয়ের বাড়ি আসেন। গত শুক্রবার পুরাতন মালদহের খইহাট্টা গ্রামে পৌঁছায় দুই বাংলাদেশি নাগরিক। ভারতে আসার পর অসুস্থ হয়ে পড়েন শ্রীমন্ত কর্মকার (৫০)। আত্মীয়রা তাকে মালদহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার তাঁর মৃত্যু হয়।
advertisement
আরও পড়ুনঃ গ্রাম পঞ্চায়েতের উদ্যোগে দুর্গা পুজো উপলক্ষ্যে শিশু উদ্যান ও সেলফি জোন
বৃহস্পতিবার মৃতদেহ মালদহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে ময়নাতদন্ত করা হয়। বাংলাদেশ বডি নিয়ে যাওয়ার জন্য জেলা প্রশাসনের তরফ থেকে লিখিত নিয়ে আসেন পরিবারের লোকেরা। বৃহস্পতিবার মৃতদেহ নিয়ে হিলি সীমান্তে পৌঁছায় পরিবারের লোকেরা। সেখানে নথি যাচাইয়ের সময় ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর পক্ষ থেকে দেহ আটকে দেওয়া হয়। দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার হিলি সীমান্ত থেকে দেহ রাতেই মালদহে ঘুরিয়ে নিয়ে আসেন পরিবারের লোকেরা। মর্গে দেহ রাখার জন্য অনুরোধ করেন।
আরও পড়ুনঃ অনলাইন শপিংয়ের দাপটে ব্রাত্য ছোট দোকানদারদের ব্যবসা!
কিন্তু নিয়ম না থাকায় সেখানে দেহ রাখতে পারেননি পরিবারের লোকেরা। বাধ্য হয়ে মর্গের সামনে খোলা আকাশের নিচে দেহ রেখেছেন। এদিকে তিন দিনের দেহ থেকে দূর্গন্ধ ছড়াতে শুরু করেছে। এমন অবস্থায় দেহ নিয়ে রয়েছেন পরিবারের লোকেরা। পরিবারের লোকেদের দাবি, তাঁরা এখন নিরুপায়। মালদহ থেকে দেহ বাংলাদেশ কি ভাবে নিয়ে যাবেন সেই চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। দেহ নিয়ে যাওয়ার অপেক্ষায় বসে রয়েছেন।
Harashit Singha





