সংস্থার সম্পাদক জানান, প্রতিবছরই আমরা বিশ্ব পরিবেশ দিবস পালন করে থাকি। করোনার আতঙ্ক মাথায় নিয়েওইয়াস, আমফান ও আয়লার মতো প্রাকৃতিক বিপর্যয় থেকে প্রাণীজগতকে আগলে রাখতেহলে দূষনমুক্ত সবুজ প্রানের পৃথিবী একান্ত জরুরী। বিশ্ব উষ্ণায়ন রোধ ও সৌন্দার্য্যায়নে ৪১নং জাতীয় সড়কের কোলাঘাট মোড় থেকে নন্দকুমার চৌরাস্তা পর্যন্ত মাঝখানে ৩৫০০টি বকুল চারা লাগিয়েছেন। গাছগুলো মেদিনীপুর স্বাধীনতা সংগ্রামী ও কৃতি ব্যক্তিদের নামে উৎসর্গ করা হয়েছে।
advertisement
এবছর ২০ হাজার মেহগিনী, বকুল, কৃষ্ণচূড়া, সোনাঝুরি চারা গাছ আজ পাঁচই জুন থেকে আগামী ২০ শে জুলাই পর্যন্ত বিনা পয়সায় বিতরন করা হবে।সকলের উচিত বিশ্ব পরিবেশ দিবসে সক্রিয় অংশ গ্রহন করা। তিনি আরও জানান, পৃথিবীকে দুষণমুক্ত গড়ে তোলা আমাদের প্রতিটি নাগরিক ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের দায়িত্ব ও কর্তব্য।
সংস্থার সাধারণ সম্পাদক যোগেশ সামন্ত বলেন, "আমরা যেমন এগিয়ে এসেছি তেমনি সমাজের প্রতিটি সংস্থার সাথে সাথে নাগরিকদের আহ্বায়ন জানাব এই সামাজিক দায়িত্ব কর্তব্য পালনে এগিয়ে আসার জন্য।একজন নাগরিক যদি একটি গাছরোপন ও সংরক্ষন করতে পারেন তাহলে এর থেকে বড় উপহার সমাজের জন্য আর কিছু হতে পারে না। কোভিডকে আমরা পরাজিত করতে পারবো কিন্তু ভবিষ্যতে এমন একদিন আসবে যেদিন দূষন অথবাউষ্ণায়নকে কোন টিকা বা ভ্যাকসিন দিয়ে রোধ করতে পারব না আমরা। এইসমস্যা সমাধানের জন্য চায়চির সবুজ গাছ। আর সেই চির সবুজ গাছ বিজ্ঞানীরা ঠান্ডা ঘরে বসে আবিষ্কার করতে পারবেন না।আপনার আমার মতো সচেতন নাগরিকই পারে গাছ লাগিয়ে তা পরিবেশকে উপহার দিতে।
একটি গাছ থেকেঅক্সিজেন পেতে অথবা তার মাধ্যমেমাটিক্ষয় রোধ করতে কিম্বাবিশ্ব উষ্ণায়ন রোধকরতে অনন্ত দশ বছর সময় দিতেহবে গাছটিকে। সমস্তরাজনৈতিক, সামাজিক ওধর্মীয় ভেদাভেদ ভুলে বিশ্ব পরিবেশ দিবসে সুন্দর পৃথিবী গড়ে তুলতে সকলকে গাছ লাগানোর জন্য এগিয়ে আসতে হবে।। এই কর্মসূচীতে যেভাবে আমাদের হোমের আবাসিকরা সক্রিয় অংশ গ্রহনের মাধ্যমেসামাজিক দায়িত্ব ও কর্তব্য পালন করতে পারল তার জন্য আমরা কৃতজ্ঞ।"
সৈকত শী