TRENDING:

Birbhum News|| লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকায় লক্ষ্মীপুজো সারলেন চাকদহার মহিলারা

Last Updated:

Bangla News: লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের সরকারি অনুদানের টাকাই এবার লক্ষ্মী পুজোর জন্য খরচ করে নজির গড়লেন বীরভূমের সিউড়ী এক নম্বর ব্লকের অন্তর্গত মল্লিকপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের চাকদহা গ্রামের মহিলারা।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
#বীরভূম: রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজ্যের মহিলাদের হাত খরচের জন্য চালু করেছেন লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্প। এই প্রকল্পের আওতায় নাম নথিভুক্ত করা মহিলারা পাচ্ছেন মাসে মাসে ৫০০ অথবা ১০০০ টাকা। সরকারি অনুদানের টাকাই এবার লক্ষ্মী পুজোর জন্য খরচ করে নজির গড়লেন বীরভূমের সিউড়ী এক নম্বর ব্লকের অন্তর্গত মল্লিকপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের চাকদহা গ্রামের মহিলারা।
লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা লক্ষ্মী পুজোয় কাজে লাগালেন চাকদহা গ্রামের মহিলারা
লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা লক্ষ্মী পুজোয় কাজে লাগালেন চাকদহা গ্রামের মহিলারা
advertisement

এই গ্রামের মহিলারা শুক্রবার তাদের গ্রামের একমাত্র ধুমধাম করে হওয়া লক্ষ্মী পুজো কমিটির হাতে এই টাকা তুলে দেন। সঠিকভাবে পুজো সম্পন্ন করার জন্য তারা আগেই প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পের প্রথম মাসের প্রথম কিস্তির টাকা পুজো কমিটির সদস্যদের হাতে তুলে দেবেন। সেই কথা মতোই তারা এদিন এই কাজ করলেন।

চাকদহ গ্রামের চাষা পাড়া নামে একটি পাড়ায় প্রতিবছর ধুমধাম করে লক্ষ্মীপুজো হয়ে থাকে 'এই বেশ ভাল আছি' নামের একটি ক্লাবের আয়োজনে। কিন্তু গত বছর থেকে করোনা সংক্রমণের জন্য লকডাউন এবং অন্যান্য ব্যবসা ও কাজের ক্ষতি হওয়ায় বহু মানুষের হাতেই অর্থসংকট লক্ষ্য করা গিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে এই পুজোর যারা আয়োজন করে থাকেন তারা এই বছর ঠিকঠাক চাঁদা সংগ্রহ করতে পারেননি। অন্যান্য বছর ধুমধাম করে পূজো হয়ে থাকলেও অর্থসংকটে এই বছর এই পুজো নিয়ে সংশয় দেখা দেয়। এমনটা জানতে পেরে স্থানীয় মহিলারা সিদ্ধান্ত নেন পুজোর জন্য তারা লক্ষ্মীর ভান্ডারের প্রথম কিস্তির টাকা চাঁদা হিসাবে দেবেন।

advertisement

সেইমতো এদিন পুজো মণ্ডপে এই অনুদান মঞ্চ তৈরি করা হয়। যেখানে একটি লক্ষ্মীর ভান্ডার নামে বাক্স রাখা হয়। গ্রামের স্থানীয় মহিলারা একে একে এসে সেই বাক্সের মধ্যেই তাদের লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্প থেকে পাওয়া প্রথম কিস্তির ৫০০ টাকা পুরে দেন।

এমন পদক্ষেপ প্রসঙ্গে স্থানীয় এক গৃহবধূ সীমা সরকার জানিয়েছেন, "এখানকার অল্পবয়সী কিছু ছেলে প্রতিবছর এই পুজোর আয়োজন করে থাকে। নিজেরাই ১০-১২ দিন ধরে দিন রাত জেগে প্যান্ডেল থিম তৈরি করে। কিন্তু এই বছর আমরা জানতে পারি তাদের ঠিকঠাক চাঁদ ওঠেনি। তাই তাদের আনন্দ যাতে নষ্ট হয়ে না যায় তার জন্য আমরা এমন পথ বেছে নিয়েছি। এই পুজোতে ওই ছেলেরা ছাড়াও আমরাও খুব আনন্দ করি। আর লক্ষ্মীর ভান্ডার থেকে পাওয়া টাকা আমাদের বাড়তি।"

advertisement

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
বিজয়াতেই ঘরে ঘরে 'টিকা'র প্রস্তুতি! গোর্খাদের এই উৎসব বাঙালির খুব চেনা
আরও দেখুন

মাধব দাস

বাংলা খবর/ খবর/Local News/
Birbhum News|| লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকায় লক্ষ্মীপুজো সারলেন চাকদহার মহিলারা
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল