প্রসঙ্গক্রমে বলা যায়, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) বিধানসভা ভোটের আগে বিভিন্ন সভামঞ্চ থেকে ঘোষণা করেছিলেন তৃতীয়বারের জন্য ক্ষমতায় এলে তিনি বাড়ির মহিলাদের জন্য হাত খরচ বাবদ ৫০০ টাকা ও ওবিসি দের জন্য ১০০০ টাকা তুলে দেবেন। যেমন কথা, তেমন কাজ। ভোটে জিতে তৃতীয়বারের জন্য ক্ষমতায় বসেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং শপথ নেওয়ার পর থেকেই তিনি ঘোষণা করেন লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পে বাড়ির মহিলাদের হাতে টাকা তুলে দেওয়ার কথা।
advertisement
সেই ঘোষণা মত দুয়ারে সরকার (Duare Sarkar camp) ক্যাম্প থেকে লক্ষ্মীর ভান্ডার (lakshmir bhandar) প্রকল্পের ফর্ম দেওয়া শুরু হয়। এরপর লক্ষ্মীর ভান্ডার ফরম দেওয়ার কাজ শুরু হতেই বিভিন্ন স্থানে ভিড় পড়ে উপচে।বেশকিছু জেলায় দেখা যায় এই ক্যাম্পে পদপিষ্ট হয়ে আহত হয়েছেন বহু মহিলা। এছাড়াও কোভিড বিধি অগ্রাহ্য করে জমায়েত গাদাগাদি ভিড় দেখা গেছে, আর তা নিয়ে বিরোধীরা সমেত প্রশ্ন তুলেছেন চিকিৎসকেরা। কারণ এখনও কোভিড (coronavirus) সংক্রমণ সেভাবে কাটিয়ে উঠতে পারেননি গোটা ভারত সমেত জঙ্গলমহলের মানুষ।
এছাড়া তৃতীয় ঢেউ ইতিমধ্যে আছড়ে পড়তে শুরু করেছে গোটা বিশ্ব জুড়ে। এরই মধ্যে এই জমায়েত কোভিডের ক্ষেত্রে আরো ভয়ঙ্কর রূপ ধারণ করতে পারে। তাই ক্যাম্প (lakshmir bhandar) গুলিতে যত কম পরিমাণ জমায়েত করা যায় সেই দিকেই নজর দেওয়ার কথা বলেছেন বিশেষজ্ঞরা। কিন্তু কে শোনে কার কথা। ক্যাম্প হলেই তাতে হাজার হাজার মানুষ ভিড় জমাচ্ছেন রাত থেকে। গেট খুললেই ধাক্কাধাক্কি দিয়ে ক্যাম্পে ঢোকার চেষ্টা এবং তাতেই পদপিষ্ট এবং আহত হচ্ছেন তারা। কিন্তু এদিন তার উল্টো ছবি দেখা গেল মেদিনীপুর কলেজে।
পূর্বঘোষণা মত এদিন মেদিনীপুর কলেজে একটি দুয়ারে সরকারের ক্যাম্প আয়োজন করা হয়। যেখান থেকে লক্ষ্মীর ভান্ডারের আবেদনপত্র দেওয়ার কাজ শুরু করেন বিধায়িকা জুন মালিয়া (June malia)। এদিন তিনি নিজে হাতে ফর্ম তুলে দেন এবং ফর্ম ফিলাপের তদারকিও করেন। কিন্তু অবাক করার বিষয় হলো জুন মালিয়ার ফর্ম দেওয়া শেষ করে ফিরে গেলে সঙ্গে সঙ্গে ফাঁকা হয়ে যায় লক্ষ্মীর ভান্ডার (lakshmir bhandar) এর ক্যাম্প।
Partha Mukherjee