একদিকে যখন পরিবার-পরিজন আর হাসপাতাল জুড়ে খুশির হাওয়া, ঠিক অন্যদিকে দুঃশ্চিন্তা শুরু হয়, এই তিন শিশুকে বাঁচানো নিয়ে! পরিবারের ইচ্ছে অনুযায়ী, দায়িত্ব নেন শিশু চিকিৎসক ডাঃ দীপক কুমার মাসান্ত (West Medinipur News)। সদ্যজাতদের ভর্তি করা হয়, ওই বেসরকারি হাসপাতালের স্পেশাল নিউবর্ন কেয়ার ইউনিটে (Special Newborn Care Unit- SNCU)। প্রায় ১০ দিন ওখানেই তাদের চিকিৎসা করেন ডাঃ মাসান্ত। যোগ্য সহায়তা করেন ওই বেসরকারি হাসপাতালের স্বাস্থ্যকর্মীরা। অবশেষে, সম্পূর্ণ সুস্থ রূপে গতকাল (৫ জানুয়ারি) তাদের বাড়ি পাঠানো হয়।
advertisement
উল্লেখ্য যে, সমীক্ষা অনুযায়ী প্রতি ৭০০০ (সাত হাজার) প্রসূতির মধ্যে একসঙ্গে তিনটি শিশু ভূমিষ্ঠ হওয়ার ঘটনা রয়েছে এই পৃথিবীতে। তবে, বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দেখা যায় একসঙ্গে ভূমিষ্ঠ হওয়া তিন শিশুর মধ্যে কেউ না কেউ বা একাধিক জন মারা যায়। ভূমিষ্ঠ শিশুর তিন জনের মধ্যে তিনজনই সচরাচর বাঁচে না! কিন্তু, মেদিনীপুরের দুই বিশিষ্ট চিকিৎসক ডাঃ কিংকর সিং এবং ডাঃ দীপক কুমার মাসন্তর তত্ত্বাবধানে এবং চিকিৎসায় সেই অসাধ্য সাধনই হয়। মেদিনীপুর শহরের বিশিষ্ট শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ তথা শালবনী সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের জনপ্রিয় চিকিৎসক ডাঃ দীপক কুমার মাসান্ত বলেন, "একসাথে তিনটি বাচ্চা সুস্থ ভাবে জন্ম নেওয়ার ঘটনা খুবই বিরল! আমাদের দেশে প্রতি ৭ হাজার প্রসূতির মধ্যে একসঙ্গে তিনটি শিশুর জন্ম দিয়েছেন ১ জন৷ যদিও, বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই দেখা গিয়েছে, শিশু ভূমিষ্ঠ হওয়ার পর, একসঙ্গে জন্ম হওয়া তিন শিশুর মধ্যে দু'টি বা একটি শিশু মারা যায়! তবে, আমাদের চিকিৎসকের সফল অস্ত্রোপচারের মধ্য দিয়েই শিশু তিনটি সুস্থভাবে ভূমিষ্ঠ হয়েছে। মাত্র ৩২ সপ্তাহের মধ্যেই এই প্রসূতিকে ডেলিভারি করিয়ে তিন শিশুকে বাঁচানো সম্ভব হয়েছে। এটা নিঃসন্দেহে বিরল ঘটনা! ভূমিষ্ঠ হওয়া শিশুদের মধ্যে একটি শিশুর ওজন ছিল মাত্র ১ কেজি ৬০ গ্রাম, সটাও অন্যতম বিরল ঘটনা। আপাততো মা ও তিন শিশুই সুস্থ। আমরা কামনা করব, এই শিশুরা যেন সুস্থ ও স্বাভাবিকভাবে জীবনযাপন করতে পারে"। আর, রুফিনা'র মুখ জুড়ে যেন মেরি মাতার পবিত্র হাসি! সেই হাসিই যেন বলে দিচ্ছে, ওরা সুস্থ ভাবেই বাকি জীবনটা কাটাতে পারবে। (West Medinipur News)
Partha Mukherjee